ঊষার আলো রিপোর্ট : উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসছে শীত। রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশা থাকছে বিভিন্ন এলাকায়। তাপমাত্রা কমে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তীব্র শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে উত্তরের এই জনপদ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন সাধারণ মানুষ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, গত কয়েকদিন ধরেই এখানে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ১০-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। এ মাসের শেষের দিকে দেখা দিতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১০ দশমিক ৪ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। একই দিন ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বুধবার রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, শীত বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। তবে জীবিকার তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা গড়তেই হিমেল বাতাসে ঠান্ডা পড়তে শুরু করে। সন্ধ্যার পর থেকে খুব ঠান্ডা। হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছাকাছি থাকায় শীতের মাত্রাও একটু বেশি হয়। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের পারদ নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। দিনেও আগের মতো গরম নেই।
অন্যদিকে, দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা অনেকটা কমেছে। গত ৪ দিন পর আজ জেলায় তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনিম্ন।
ঊষার আলো-এসএ