কলাপাড়া প্রতিনিধি : পটুয়াখালীতে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ বাঁগিয়ে নিল কলাপাড়ার বিবাহিত যুবক মো. মিরাজ হোসেন।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের দ্বিতীয় ভাগে ধারা ২৩ বিবিধঃ এর (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিবাহিতদের ছাত্রলীগে কোন পদে থাকতে না পারার কথাটি লেখা থাকলেও, কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সচিব, উপ-সচিব পরিচয় দেওয়া ডিবি কর্তৃক আটক হয়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে থাকা মো. সাগর মৃধা ওরফে ফুরকান মৃধার পুত্র মো. মিরাজ হোসেন বিবাহের কথাটি গোপন করে পদ বাঁগিয়ে নিয়েছেন।
ছাত্রদলে থেকে ছাত্রলীগের নেতাকে হত্যা করে আ-লীগ নেতা বনে যাওয়া মো. সাগর মৃধা ওরফে ফুরকান মৃধা কুটকৌশলে বাঁগিয়ে নেওয়া কলাপাড়া উপজেলা আ-লীগের বর্তমান সদস্য তাহারই পুত্র ওই মিরাজ হোসেন।
চম্পাপুর ইউপির পাটুয়া গ্রামের মো. ফকু মৃধার পুত্র মো. সাগর মৃধা ওরফে ফুরকান মৃধার ছেলে মো. মিরাজ হোসেন একই ইউপির মো. আফতার গাজীর পুত্র মো. দুলাল গাজীর মেয়ে মোসা: নিলা বেগমকে নিয়ে পালিয়ে বিবাহ করে এবং পরে পারিবারিক ভাবে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বর্তমানে বৈবাহিক সূত্রে পারিবারিক জীবনে আবদ্ধ রয়েছেন। ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য যে, ৯ নভেম্বর ২০২২ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি আগামী এক বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে মো. মিরাজ হোসেন’র নাম থাকায় জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের অনেকেই বিস্মিত হয় এবং ছাত্রলীগের ওই কমিটি হইতে তাহার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
(ঊষার আলো-এফএসপি)