UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রয়াত ছাত্রদল নেতা কামালের পরিবারের পাশে বকুল

usharalodesk
অক্টোবর ১৫, ২০২১ ৫:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : এস এম কামাল হোসেনের আকষ্মিক মৃত্যুতে খুলনার জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ও খুলনা-৩ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ রকিবুল ইসলাম বকুল।

কামালের মতো একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মীকে হারিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ব্যথিত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর পক্ষ থেকে আমি সহানুভূতি জানাতে এসেছি এবং এই পরিবারের যে কোন সংকটে বা প্রয়োজনে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।

খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর দক্ষিণ টুটপাড়ায় কামালের বাসভবনে যান বিএনপি নেতা বকুল। তিনি কামালের একমাত্র শিশু মেয়ে দিলরুবাকে কাছে টেনে নিয়ে আদর করেন এবং তার কুশলাদি জানতে চান।

এ সময় কামালের বিধবা স্ত্রী আসমা আক্তার, একমাত্র বোন, শ্বশুর ও ভাইপো সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি নেতা রকিবুল ইসলাম বকুলকে কাছে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

কামালের স্ত্রী জানান, রাজনৈতিক প্রসঙ্গে আলাপকালে বকুল ভাইকে তার অভিভাবক হিসেবে উল্লেখ করতেন কামাল। কামালকে রাজনীতির মাঠের সাহসী যোদ্ধা উল্লেখ করে রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, অসংখ্য রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা, বারবার গ্রেফতার, পুলিশী নির্যাতন, হামলাতেও তাকে দমানো যায়নি। তার হাতে সারা খুলনায় অসংখ্য কর্মী সৃষ্টি হয়েছে। কামালকে হারানো শোকে তারা আজ বেদনায় মুহ্যমান।

কামালের পরিবার যাতে এই শোককে সহ্য করতে পারে সেজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চান। এরআগে দুপুর ১২টার দিকে তিনি টুটপাড়া কবরস্থানে পৌঁছান। সেখানে খুলনা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি বর্ষিয়ান জননেতা ও ভাষাসৈনিক এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ, অকাল প্রয়াত ছাত্রনেতা এস এম কামাল হোসেন, যুবদল কেন্দ্রীয় নেতা চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেনের মাতা, সদর থানা যুবদল নেতা বিপ্লবের পিতার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করেন।

এরপর সকল মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাতে শরীক হন। কামালের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাতের পর তিনি স্থানীয় বায়তুশ শারফ মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করেন এবং মরহুম এস এম কামালের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়ায় অংশ নেন।

এরপর তিনি অসুস্থ বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর হোসেন আলম, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুজ্জামান নিশাতের অসুস্থ মাতা, অসুস্থ খালিশপুর আঞ্চলিক শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন এবং চিকিৎসারত হোসনেওয়ারা বেগমের শারিরীক অবস্থার খোজ খবর নেওয়ার জন্য হাসপাতালে যান এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এসময় তিনি অসুস্থ ও প্রয়াত নেতৃবৃন্দের পরিবারের যেকোন প্রয়োজনে সবসময় তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি নেতা শফিকুল আলম তুহিন, সুলতান মাহমুদ, আজিজুল হাসান দুলু, শেখ সাদী, এহতেশামুল হক শাওন, কাজী মিজানুর রহমান মিজান, পার্থ দেব মন্ডল, মাসুদ পারভেজ বাবু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শের আলম সান্টু, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, ইবাদুল হক রুবায়েত, আব্দুল আজিজ সুমন, শেখ ইমাম হোসেন, রবিউল ইসলাম রুবেল,আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, হেলাল আহমেদ সুমন, আনোয়ার হোসেন আনো, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি,

আরও উপস্থিত ছিলেন, গোলাম মোস্তফা তুহিন, মোঃ তাজিম বিশ্বাস, তরিকুল ইসলাম তারেক, ইঞ্জিঃ নুর ইসলাম বাচ্চু, মুনতাসির আল মামুন, জাবির আলী, ইউসুফ মোল্লা, হারুন অর রশিদ মাসুম, মাহমুদ হাসান বিপ্লব, খায়রুজ্জামান সজীব, জাহিদুল ইসলাম বাচ্চু, কামরুল ইসলাম, কামাল হোসেন, লাবু বিশ্বাস, আল আমিন সরদার রতন, হাসান ফকির, সৈয়দ ইমরান, হেদায়েত উল্লাহ দীপু, রিয়াজুল হাসান মুরাদ, প্রমুখ।