UsharAlo logo
সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসির ওয়াবদা বাধ কেটে পানি সরানোর চেষ্টা

usharalodesk
আগস্ট ৩, ২০২১ ৩:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা না থাকায় বাগেরহাটের উপকুলীয় উপজেলা শরণখোলায় অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। প্রতিকারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েও কোন ফল না পেয়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি সোমবার ওয়াপদার বেড়িবাদ কেটে পানি সরানোর চেষ্টা করেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার খাতুনে জান্নাত খুব দ্রুত সরকারিভাবে পানি সরানোর আশ্বাস দিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রন করেন। উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মহিউদ্দিন ও সাউথখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন মঙ্গলবার দুপুরে জানান, সপ্তাহখানেক আগে ভারী বৃষ্টিপাতে শরণখোলার গ্রামাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যায়। ৪/৫ ফুট পানির নীচে ডুবে যায় ফসলের মাঠ, বাড়ীঘর রাস্তাঘাট। ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু জানান, তার ইউনিয়নের শত শত পরিবার এখনো পানি বন্দী হয়ে আছে। ঘরে পানি ওঠায় অনেক পরিবারে রান্না হয়না। আত্মীয় স্বজনের বাড়ী থেকে খাবার এনে খাচ্ছে বলে চেয়ারম্যান জানান। ওয়াবদার বেড়িবাদে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা না থাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানি সরছে না। কদিন ধরে এ অবস্থার পর ভুক্তভোগি মানুষরা সোমবার সকালে উপজেলার রসুলপুর ( দাসেরভারানী পাড়) এলাকায় বাধ কেটে পানি সরানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার খাতুনে জান্নাত প্রশাসনের জনবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং বিক্ষুব্ধ মানুষদের বুঝিয়ে এবং দ্রুত পানি সরানোর আশ্বাস দিয়ে বাধ কাটা বন্ধ করেন।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাতুনে জান্নাত সাংবাদিকদের বলেন, পানিবন্দী বিক্ষুব্ধ জনগন পানি অপসারনের লক্ষ্যে উপজেলার রসুলপুরে দাসের ভারানী নামক স্পটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের বেরিবাঁধ কাটা শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জনগনকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত ও বাধ কাটা বন্ধ করা হয়। আমরা যাওয়ার আগেই বেরিবাঁধের অনেকখানি জায়গা কেটে ফেলা হয়েছে যা মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তিনি পানিবন্দি মানুষের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন সম্প্রতি মুষলধারে বৃষ্টিপাতে জলাব্ধতায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১৩ হাজার পরিবার এখনও পানিবন্দী হয়ে আছে। এ বিষয়ে উপকূলীয় বাধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) খুলনার

নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশ্রাফুল আলম জানান, শরণখোলায় ওয়াবদার বেড়িবাধের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে তাদের একটি টিম মাঠে কাজ শুরু করেছে। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৯টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে । মঙ্গলবার থেকে সেখানে প্রাথমিকভাবে পাইপ বসিয়ে দ্রুত পানি অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে। আর এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সমস্যা চিহ্নিত ও করনিয় নির্ধারণের জন্য ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে পরবর্ত্তি করনীয় কাজ করা হবে বলে ওই প্রকৌশলী জানান।

(ঊষার আলো-আরএম)