UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহজাবিন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

usharalodesk
জুন ২০, ২০২১ ১:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : পুরান ঢাকার কদমতলীতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মা-বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় আটক মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার রাত ১২টার দিকে মামলাটি করে হত্যার শিকার মাসুদ রানার বড় ভাই শাখাওয়াত হোসেন।
আজ ২০ জুন রবিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ।
ডিসি বলেছেন, ‘বাবা-মা ও বোনকে হত্যার অভিযোগে মেয়ে মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলাম অরণ্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন মাসুদ রানার বড় ভাই শাখাওয়াত হোসেন। মামলার বিবাদী মেহজাবিনকে পুলিশ আটক করেছে। আর তার স্বামী শফিকুল ইসলাম অরণ্য রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন।’
পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ১৯ জুন শুক্রবার দিনগত রাতে মেহজাবিন নামের এক নারী তার বাবা মাসুদ রানা (৫০), মা মৌসুমী (৪৫) ও বোন জান্নাতুলকে (২০) হত্যা করে। হত্যার শিকার প্রত্যেকের গলায় দাগ ছিল। পুলিশের ধারণা, প্রথমে ঘুমের ওষুধ বা নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানোর পর গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, শুক্রবার দিবাগত রাতে হত্যার পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন মেহজাবিন, তিনি বলেন ‘আমি আমার বাবা-মা এবং বোনকে খুন করছি। আমার স্বামী ও মেয়ে বিছানায় ঘুমিয়ে রয়েছে। তাদেরও খুন করতে পারি। নিজেকেও খুন করে ফেলতে পারি। আপনারা তাড়াতাড়ি আসেন। আমাকে ধরেন।’
উল্লেখ্য, তিন দিন আগে স্বামী শফিকুল ইসলাম ও সন্তান মার্জান তাবাসসুমকে নিয়ে রাজধানীর কদমতলীতে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ২৪ বছর বয়সী মেহজাবিন মুন। গিয়েই তার ছোট বোন ২০ বছর বয়সী জান্নাতুলের সঙ্গে নিজ স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে বাবা-মায়ের কাছে অভিযোগ করে। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মেহজাবিনের। তারই জের ধরে তিনি বাবা-মা, ছোট বোনকে নারকীয়ভাবে হত্যা শেষে ৯৯৯-এ কল দিয়ে নিজেই হত্যা করার কথা বলেন।

(ঊষার আলো-এম.এইচ)