UsharAlo logo
রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে টালিউড তারকারা অগ্নিকাণ্ডের মুখোমুখি

usharalodesk
জুলাই ৭, ২০২৪ ১:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি আমেরিকায় টালিপাড়ার চাঁদের হাট। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সবাই হাজির হয়েছেন সেখানে। বাংলাদেশ থেকেও যোগ দিয়েছেন কয়েকজন অভিনেতা। অনুষ্ঠান করতে গিয়ে তারা অগ্নিকাণ্ডের মুখোমুখি হয়েছেন। হোটেলের কোনো একটি ঘরে আগুন লাগে।

আমেরিকায় তখন ভোর সাড়ে ৫টা। কেউ কেউ গভীর ঘুমে, আবার কারও ঘুম ভেঙেছে, কারও ঘুম ভাঙব ভাঙব এমন পরিস্থিতি। কারও ঠিকানা পাঁচতলায় তো কারও ছয়তলায়। হঠাৎ করে ওই সময় তীব্র অ্যালার্মে নিস্তব্ধতা খান খান। সচেতন হওয়ার আগেই আতঙ্কিত টালিউডের বিনোদনজগতের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। অ্যালার্ম বাজতেই প্রাণ হাতে করে সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসেন তারা।

অধিকাংশ শিল্পী রাতপোশাকে সিঁড়ি ভেঙে ছুটেছেন নিচে। শঙ্কিত কণ্ঠে একটিই প্রশ্ন— ‘প্রাণে বাঁচব তো?’ সেই আতঙ্কের ঘোর কাটতে অনেক সময় লেগেছে। এ নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন পরিচালক অরিন্দম শীল।

ভয় আর আতঙ্কে গলা জড়িয়ে আসছিল তার, এ অবস্থায় অরিন্দম বললেন, ’ভালো করে চোখ মেলতে পারিনি। হঠাৎ অ্যালার্মের শব্দে ধড়মড়িয়ে উঠে বসি। খাটে রাজ্যের জিনিসপত্র ছড়ানো। কিন্তু গোছাবে কে? আগে জিনিস না আগে প্রাণ?’ গরম পোশাক গায়ে জড়ানোর সময়টুকুও পাননি তারা। ওই অবস্থাতেই পাঁচতলা থেকে এক তলায়।
অরিন্দম আরও বলেন, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মমতা শঙ্করের। তিনি না পারছেন সিঁড়ি ভাঙতে, না পারছেন কোথাও দাঁড়াতে। ব্যথা নিয়ে কোনোমতে এক পা এক পা করে সিঁড়ি বেয়ে নেমেছেন।

এরপর কথা বললেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও। তার ‘অযোগ্য’ ছবিটি দর্শকদের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সেই সাফল্যের স্বাদ পেতে তিনি সস্ত্রীক পাড়ি জমিয়েছিলেন আমেরিকায়। কৌশিক বলেন, ‘আমরা সবাই হইহই করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে নামলাম। প্রত্যেকে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সবার একটিই চিন্তা— যে করে হোক প্রাণে বাঁচতে হবে।‘ শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় থেকে চঞ্চল চৌধুরী— প্রাণ বাঁচানোর দৌড়ে শামিল সবাই। এমনকি হোটেলের বোর্ডাররাও হইহই করে সিঁড়ি দিয়ে নামলেন।

এর মধ্যেই এক মজার কাণ্ড ঘটে গেল। প্রাণ হাতে করে নিচে নামার পর পরিচালক অরিন্দমকে দেখে হঠাৎ এক প্রবাসী বাঙালি আনন্দ আর উৎফুল্লে মেতে ওঠলেন। তিনি হাসতে হাসতে তার কাছে এসে বললেন, ‘এত খারাপের মধ্যেও একটা ভালো, আপনাকে কাছে থেকে দেখতে পেলাম। চলুন দাদা, সেলফি তুলি।

ঊষার আলো-এসএ