UsharAlo logo
বুধবার, ২৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শীতে কাঁপছে দিনাজপুর ও পঞ্চগড়

ঊষার আলো
জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : ঘন কুয়াশা তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে দিনাজপুরের মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে তাপ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তা-ঘাট ফাঁকা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বেড় হচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দিনাজপুর জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯১ শতাংশ।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, আজ বুধবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল একই সময় তাপমাত্রা ছিলো ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৩ শতাংশ।

এদিকে পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পৌষের মাঝামাঝি থেকেই উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে অনুভুত হচ্ছে কনননে শীত। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় জুবুথুবু প্রকৃতি। বিরাজ করছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

এদিকে, তাপমাত্রার অবনতি আর হাড়কাঁপানো শীতে জুবুথুবু অবস্থা জনজীবনেও। কনকনে শীত সহজেই কাবু করছে এখানকার জনজীবন। রাত থেকে সকাল অবধি বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাস। গত দু’দিন থেকে দেখা মিলছে না সূর্যের।

অন্যদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। এ অবস্থায় শিশুদের বাঁশি খাবার পরিহার করা, খাবার ঢেকে রাখা এবং রাতে শিশুকে নিয়ে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, এ জেলার উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তরদিক থেকে হিমালেয়ের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্র ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। সামনে আরো কয়েক দিন শৈত্যপ্রবাহ থাকবে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর শীতপ্রবণ এই এলাকার মানুষের কথা ভেবে সরকারিভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সুরক্ষিত রাখা হয়। চলতি শীত মৌসুমে এরই মধ্যে সরকারিভাবে জেলায় প্রায় ৫০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও নতুন করে বরাদ্দ চেয়ে বার্তা পাঠানোা হয়েছে।

ঊষার আলো-এসএ