UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাউথ বাংলা ব্যাংকের ডিএমডিসহ ১১ কর্মকর্তা বরখাস্ত

usharalodesk
অক্টোবর ৭, ২০২১ ৩:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের ১১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে দুইজন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) রয়েছে। নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বুধবার (৬ অক্টোবর) এসবিএসি সূত্র এ তথ্য জানা গেছে।

ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা বুধবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, এটি ম্যানেজমেন্টর বিষয়। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। ম্যানেজমেন্ট কাকে বহিষ্কার করবে, কাকে প্রমোশন দেবে, কাকে শাখা দায়িত্ব দেবে এটা তাদের দৈনন্দিন কাজ। এটা এমডি-ডিএমডি সাহেবরা জানবেন। এ বিষয়ে এসবিএসির এমডি ও সিইও মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

যাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুইজন ডিএমডি হলেন- মো. কামাল উদ্দিন এবং সফিউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া ঋণ প্রশাসন বিভাগের প্রধান (ইভিপি) সালাউদ্দিন আহমেদ, হেড অব ব্যাংকিং অপারেশন (ইভিপি) এসএম ইকবাল মেহেদি, আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান (ভিপি) এএনএম মোয়াজ আহমেদ, খুলনা শাখা প্রধান (এফএভি) এনএম আবুল কালাম সিদ্দিক, খুলনা চোকনগর শাখা প্রধান (এভিপি) মো. মনজুরুল আলম, ফকির হাট, খারাবাত বাইনতলা শাখার প্রধান (এসইও) এসএম রবিউল আলম, ফলটিটা শাখার প্রধান (এসইও) মো. নজরুল ইসলাম, খুলনার বৈদেশিক মুদ্রা শাখার এসকে আবুল ফারাহ এবং কাটাখালি শাখা ম্যানেজার অরুপ কুমার শাহা।

এসবিসি সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকটির আগের চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন দীর্ঘ দিন দায়িত্বপালন কালে অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তাকে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে যেসব কর্মকর্তার যোগসাজশ ছিল বর্তমান পর্ষদ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় এসব কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের জন্য যেসব কর্মকর্তা অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এমন আরও কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার আশঙ্কা রয়েছে।

এর আগে এসবিএসির ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা থেকে টানা ৯ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন এসএম আমজাদ হোসেন। ওই সময় আমজাদ হোসেন নামে-বেনামে পরিবার ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নিজ ব্যাংক থেকেই প্রায় ২৬০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নামে-বেনামে নেয়া এসব অর্থ এখন ফেরত পাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি।

আরও অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকিং-সংক্রান্ত যাবতীয় আইন ও রীতিনীতি সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে এসব ঋণ নিয়েছেন তিনি। পরিশোধের সময় পার হলেও খেলাপি হিসেবে এখনও দেখানো হয়নি ওই ঋণ।

(ঊষার আলো-এমএনএস)