UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৬ বছর পর রায় : খুলনার আলোচিত জাপা নেতা কাশেম হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

koushikkln
মার্চ ২৯, ২০২১ ১:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনার আলোচিত সাবেক চেম্বার সভাপতি ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল কাশেম হত্যায় পলাতক আসামী তারিক হোসেনের মৃত্যুদ- দিয়েছে আদালত।
হত্যা ঘটনার প্রায় ২৬ বছর পর সোমবার (২৯ মার্চ)সকালে জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইবুন্যাললের বিচারক মো. সাইফুজ্জআমান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন। চাঞ্চল্যকর এ মামালার অপর আসামীরা বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল খুলনা থানার অদূরে বেসিক ব্যাংকের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন শেখ আবুল কাশেম ও তার ড্রাইভার মিকাঈল হোসেন। এ ঘটনায় ভাইজি জামাই মো. আলমগীর হোসেন খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সিআইডি মামলাটির তদন্ত করে। সংস্থাটির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার খন্দকার ইকবাল দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৯৯৬ সালের ৫ মে ১০ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তারা হলেন বর্তমান খুলনা চেম্বার সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আমিনুল হক, সৈয়দ মনিরুল ইসলাম (মৃত), তরিকুল হুদা টপি, জাতীয় পার্টি নেতা আব্দুল গফফার বিশ্বাস, ইকতিয়ার উদ্দিন বাবলু (মৃত), ওসিকুর রহমান, মুশফিকুর রহমান, মফিজুর রহমান, মিল্টন ও তারেক হোসেন।

খালাস প্রাপ্ত জাপা নেতা আব্দুল গাফফার বিশ্বিস – উষার আলো

১৯৯৭ সালে ৮ জুন আলোচিত এ হত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু হলে প্রথম দিনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিআরপি ৪৯৪ ধারা মতে প্রজ্ঞাপনে অভিযোগপত্র থেকে কাজী আমিনুল হকের নাম বাদ দেওয়া হয়। বাদীপক্ষ এই প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধ নারাজি দিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করলে প্রথমে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। পরে কাজী আমিনকে বাদ দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেয় বাদীপক্ষ। পরবর্তীতে এ মামলার অপর আসামি সৈয়দ মনিরুল ইসলাম নিজের অংশ বাদ রেখে বিচার চালানোর আবেদন করলে উচ্চ আদালত মামলার বিচার কাজ স্থগিত করে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ২৪ এপ্রিল খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পুনরায় বিচার কাজ শুরু হয়। ওই সময় মোট ৩২ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের স্বাক্ষ্য হওয়ার পর একই বছরের ২০ নভেম্বর মামলাটি নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ায় জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফেরত আসে। সৈয়দ মনিরুল ইসলামের পর আব্দুল গফফার বিশ্বাসের পক্ষে ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১৪ সালে আবারও উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের চিঠি । পরে আদালত ২৬ জানুয়ারি স্বাক্ষীদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। এভাবে এ মামলার চার কার্য দিবস শেষ হওয়ার পর ২৩ মার্চ আসামি ও বাদীপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে আদালত মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন।