বিনোদন ডেস্ক: ২০০৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর গাঁটছড়া বাঁধেন বলি মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান ও পরিচালক কিরণ রাও। ২০১১ সালে সারোগেটের মাধ্যমে আজাদকে স্বাগত জানান এ দম্পতি। ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন আমির খান ও কিরণ রাও।
চ্যাট শো চলাকালীন যখন আমিরের সঙ্গে আজাদের সম্পর্ক নিয়ে কিরণকে প্রশ্ন করেন কারিনা, তখন লাপাতা লেডিজের পরিচালক বলেন, ‘এটি জটিল। ভীষণ ব্যস্ত বাবা। সত্যি বলতে— আমাদের যখন বিয়ে হয়েছিল, তখনো অভিভাবকত্বের বেশিরভাগটাই আমি করতাম। তবে ডিভোর্সের পর আমির বুঝতে পারে— এবার আমার মনে হয় ও বুঝেছে ওকে একটু এফোর্ট দিতে হবে।
কারণ আপনি যখন একই বাড়িতে একসঙ্গে থাকেন, তখন কোনোভাবে এটা হয়েই যায়। কিন্তু যখন আলাদা থাকেন, তখন আলাদাভাবে আপনাকে সময় বের করতে হয়। অনেক বেশি সচেতন হতে হয়।
কিরণ বলেন, এখন এটা অনেকটাই মসৃণ হয়েছে। এবং আমিরও নিজেকে অনেক বেশি জড়িয়েছে। ভাগ্য করে, এখন আমরা ওপরের আর নিচের তলায় থাকি। তবে আমরা চলে গেলেও খুব বেশি দূরে দূরে থাকব না। আজাদ এখন বড় হওয়ার পর বাবার সঙ্গে সময় কাটানো খুব উপভোগ করে। এখন ওদের বন্ডিং দারুণ। তিনি বলেন, আমারও মনে হচ্ছে— আজাদকে একটু আমিরের কাছে রেখে শান্তিতে এখন বিশ্রাম নিতে পারি। শুধু আমির ছেলের স্কুল সম্পর্কে কিছুই জানে না। আমি মনে করি, এটা বেশিরভাগ বাবাদের সমস্যা। তারা সবসময় বলে—আমাকে স্কুলসংক্রান্ত কাজে জড়াবে না, আমি অন্য কাজ নেব।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, তৃতীয় বিয়ের কথাও নাকি ভাবছেন আমির। যদিও রিয়া চক্রবর্তীর পডকাস্টে অভিনেতা জানান, বয়সের কারণে পুনরায় বিয়ে করা আর সম্ভব নয় তার পক্ষে।
আমির সেই সময় জানিয়েছিলেন—আমার বয়স এখন ৫৯। আর কবে বিয়ে করব… এই বয়সে মনে হয় সেটা বেশ মুশকিলের। তা ছাড়া পরিবারে এখন প্রচুর সদস্য। সাবেক স্ত্রীদের সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। সন্তানদের সঙ্গেও খুব ভালো সময় কাটাই আজকাল। মোট কথা— আমার পছন্দের মানুষের সঙ্গে থাকতে বেশি ভালো লাগে এখন। দারুণ আছি। এখন আমি ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করছি।
ঊষার আলো-এসএ