UsharAlo logo
বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরণখোলায় আগুনে ২১ দোকান পুড়ে ছাই

koushikkln
মে ২৭, ২০২২ ১:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আরিফুর রহমান, বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর বাজারে আগুন লেগে ২১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সাভির্সের ইউনিট দুই ঘন্টার বেশি চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে রাজাপুর বাজারের ২১টি দোকান পুড়ে ভষ্মিভুত হয়ে যায়।

শুক্রবার ভোরে শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর বাজারে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে কমপক্ষে ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারনা করা হলেও কোন দোকান থেকে তা বলতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। ইলেকট্রনিক, ওষুধ, মুদি, স্টেশনারী, লন্ড্রি, কসমেটিকসসহ বিভিন্ন ধরনের দোকান আগুনে পুড়ে গেছে।
এদিকে, শুক্রবার (২৭ মে) সকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর ই আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শরনখোলা ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান বলেন, শরণখোলার রাজাপুর বাজারে আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা পাশর্^বর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিটকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে যেয়ে প্রায় দুই ঘন্টা পানি ছিটিয়ে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা হয়। ততক্ষণে আগুনে ২১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ভষ্মিভুত হয়ে যায়। এতে ব্যবসায়িদের বিপুল টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হচ্ছে। বৈদ্যুতিক সটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তবে কোন দোকান থেকে এই আগুনের সূত্রপাত তা এখনই বলা যাচ্ছেনা। সময়মত আগুন নেভানো না গেলে পাশের আরও অসংখ্য দোকান পুড়ে যেত বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক গোবিন্দ দাস ও বাদল মন্ডল বলেন, প্রতিদিনের মতো বৃহষ্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যাই। শুক্রবার ভোরে বাজারের পাশে থাকা লোকদের কাছে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যাই। সেখানে যেয়ে দেখি সারিবদ্ধ দোকানগুলো পুড়ছে। স্থানীয়ভাবে আমরা সবাই জড়ো হয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভায়। এই আগুনে আমরা সর্বশান্ত হয়ে গেছি। এই ক্ষতি কিভাবে কাটি উঠব বুঝে উঠতে পারছিনা।
রাজাপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির জানান, আগুনে এই বাজারের ইলেকট্রনিক, ওষুধ, মুদি, স্টেশনারী, লন্ড্রি, কসমেটিকসসহ বিভিন্ন ধরনের মোট ২১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসব দোকান মালিকরা তাদের কোন মালামাল রক্ষা করতে পারেনি। আগুনে অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন এই ব্যবসায়ি নেতা। ব্যবসায়িদের আর্থিক ক্ষতি পুষাতে সরকারি সহায়তা দেয়ার দাবি জানান এই নেতা ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের প্রত্যেককে তাৎক্ষনিক পাঁচ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও সহযোগিতা আশ^াস দেয়া হয়েছে।