ঊষার আলো ডেক্স : বান্দরবানে থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি পাহাড়ি গ্রামে গত ১ সপ্তাহে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
গত ৭ জুন-১১ জুনের মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২ জন মারা গেছেন। তবে ওই এলাকা দুর্গম এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় কতজন আক্রান্ত সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছেনা।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, থানচি উপজেলার রেমাক্রী ইউপি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেনতাং পাড়ার মেনতাং ম্রো ও রেংহিং পাড়ার বাসিন্দা লংঙিং ম্রো।
১ নম্বর রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা রনি বলেন, রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬-৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঙাঁরেসা পাড়া, ইয়াংরে পাড়া, ইয়াংব পাড়াসহ ৪-৫টি পাহাড়ি গ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, বিশুদ্ধ পানি সংকটের কারণে পাহাড়ি ঝিরি-ঝর্ণার পানি পান করা ও পারিবারিক কাজে দূষিত পানি ব্যবহার করার কারণে উপজেলার ৪-৫ পাড়ার অর্ধশতাধিক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ গত শুক্রবার (১০ জুন) একটি চিকিৎসক টিম পাঠালেও তারা ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে। তাছাড়াও প্রয়োজনীয় ঔষধ, স্যালাইন অপ্রতুল বলে জানান স্থানীয়রা।
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ জানান, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা ডায়রিয়া মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছে, তবে দুর্গম এলাকা বা সীমান্ত অঞ্চল হওয়ায় আমাদের কর্মীদের চিকিৎসা সেবা দিতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী বলেন, দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণে সংবাদ অনেক দেরীতে পাই, তবে সংবাদ আসা মাত্রই মেডিক্যাল টিম ওই এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করে।
(ঊষার আলো-এসএইস)
