UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবসে প্রধানমন্ত্রী’র শুভেচ্ছা

usharalodesk
জুন ২৩, ২০২১ ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস-২০২১ উপলক্ষে আমি প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০৩ সাল থেকে প্রতিবছর ২৩ জুন বিশ্বব্যাপী ‘পাবলিক সার্ভিস ডে’ উদযাপিত হয়ে আসছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের কাজের স্বীকৃতি প্রদানসহ একটি সেবামুখী, জবাবদিহিমূলক, জনবান্ধব আধুনিক প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই এ দিবসের মুখ্য উদ্দেশ।
জনসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সেবাপ্রদান প্রক্রিয়া আধুনিকীকরণ ও সহজ করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ক্রমাগত পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যবস্থায় প্রতিনিয়ত নতুন প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় জনপ্রশাসন নাগরিক সেবামুখী ও সৃজনশীল উদ্ভাবন-প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে জনপ্রশাসনে কর্মরত কর্মচারীগণের আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ ও প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ আজ বিশ্বকে এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। আমাদের দেশেও এর প্রভাব পড়েছে। সিভিল সার্ভিসে নিয়োজিত কর্মচারীরা সময়োপযোগী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বৈশ্বিক এ মহামারি নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের এসকল কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন সাফল্যসূচক স্পর্শ করেছে। দারিদ্র্য নিরসন, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা, দুর্যোগ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা অসামান্য সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি, নিম্ন আয়ের দেশ হতে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। আমার বিশ্বাস ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে পৌঁছাতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনপ্রশাসনের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নিজ নিজ দেশের উন্নয়ন ও নাগরিক সেবামুখী কার্যক্রমে তা প্রতিফলিত করার প্রয়াসকে অব্যাহত রাখবে। এ দিবসটি গণকর্মচারীদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি এবং একটি সময়োপযোগী, দক্ষ, প্রশিক্ষিত, সৃজনশীল ও গতিশীল জনপ্রশাসনের মাধ্যমে দেশের সকল স্তরে সুশাসন নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে সরকার ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে সকল কর্মচারী দায়িত্ব পালনে অধিকতর আন্তরিক হবেন।
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে তার সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

(ঊষার আলো- এম.এইচ)