UsharAlo logo
বুধবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরজি করকাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন, যা বললেন সুদীপ্তা

usharalodesk
অক্টোবর ৫, ২০২৪ ৪:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিনোদন ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে অবশেষে আন্দোলনে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দেখতে দেখতে দুই মাস হতে চলল আরজি করের নারকীয় ঘটনার। রাজ্য সরকারকে ‘ডেডলাইন’ দিয়ে শুক্রবার কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন তারা। তবে সঙ্গে রাখলেন বড় শর্তও। ধর্মতলার মঞ্চ থেকে তারা হুঁশিয়ারি দিলেন— আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের দাবিগুলো না মানা হয়, আমরা নিজেদের জীবন বাজি রাখব। এই মঞ্চ থেকে আমরা আমরণ অনশনের দিকে এগোব। তারা ১০টি দফা দাবি রেখেছেন। যাতে সঠিক রোগী পরিষেবা, সিসিটিভি, অভয়ার ন্যায়বিচার, থ্রেট কালচারের মতো সব কিছুই আছে।

ধর্মতলার মঞ্চ থেকে আমরণ অনশনের হুমকি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, যা শেয়ার করে নিলেন টালিউড অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। ডাক্তারদের বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে সুদীপ্তা চক্রবর্তী লিখেছেন— আমরণ অনশন…! হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে এবার। আর ভাবতে পারছি না!! তিনি আরও লিখেছেন— অশেষ দুর্নীতি, মিথ্যাচার, ধাপ্পাবাজি, লোকদেখানো মিটিং আর মিথ্যে প্রতিশ্রুতির ফল এবার ভয়ানক হতে চলেছে, বোধহয়।

এ নিয়ে একজন নেটিজেন মন্তব্য করেছেন— আজকের মিটিংয়ে একদম সামনে থেকে বক্তব্যটা শুনলাম। ভাবতে ভীষণ অবাক লাগল। যেই মুহূর্তে এ আমরণ অনশন শব্দটা উচ্চারণ করলেন, এক মুহূর্তের জন্যও গলা কাঁপল না! সত্যি এই মাটি ক্ষুদিরাম- সুভাষ চন্দ্রের মাটি। প্রণাম ও শ্রদ্ধা। আরেকজন লিখেছেন—আমরা উৎসব করি, বরং আর ছেলেমেয়েগুলো না খেয়ে… ছিঃ ছিঃ, কি লজ্জা। উফফফ মা দুর্গা তুমি সহায় হও, সত্যের লড়াই এত কঠিন।

এদিকে শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল আসার পর ওয়াই চ্যানেলে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল তাদের। এরপরই ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে জুনিয়র ডাক্তারদের। মেট্রো চ্যানেলের সামনের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে— দাবি ওঠে পুলিশের তরফ থেকে। ওয়াই চ্যানেলে তারা বসার কথা জানালে পুলিশের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়।

এরই মাঝে জুনিয়র ডাক্তারদের আরেকটি দল, যারা ওয়াই চ্যানেলে সাংবাদিক বৈঠকের জন্য কিছু আসবাব নিয়ে আসছিল, তাদের গাড়ি আটকায় পুলিশ। সেখানে কলকাতা মেডিকেল কলেজের এক জুনিয়র ডাক্তারকে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা তারপর ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলেই বসে পড়েন। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ধর্মতলা। ডাক্তারদের দাবি— দুজন জুনিয়র ডাক্তারকে একা পেয়ে এই জঘন্য কাজ করল কলকাতা পুলিশ।

ঊষার আলো-এসএ