ঊষার আলো প্রতিবেদক : ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আফরোজা খানম মিতার ওপর হামলা ও হত্যার চেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালত পাঁচ আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। গত ৮ আগস্ট অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ জারি করেন।
আসামীরা হলেন ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়ার বাসিন্দা মৃতঃ মোকছেদ আলীর ছেলে মেহেদী হাসান বিপ্লব(৪৩), ফুলতলা উপজেলার যুগ্নিপাশা গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহীম মোল্লার ছেলে আসলাম মোল্লা(২৫), ডুমুরিয়ার রানাই গ্রামের বাসিন্দা শেখ শহিদের ছেলে সবুজ শেখ (২৩), একই গ্রামের মৃতঃ আঃ হাই মোড়রের ছেলে ফজলু মোড়ল (৪৮) ও ইবাদ আলী ফকিরের ছেলে লিটন ফকির(৩২)। বাদীর আইনজীবী এড. সুজিত অধিকারী বলেন, আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে।
উল্লেখ্য, ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আফরোজা খানম মিতা নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আসামীদের সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মিতা গত ২০২১ সালে ৬ নভেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।
ইউপি নির্বাচন চলাকালিন সময় ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে মিতা গত ১১ নভেম্বর দুপুর পৌনে ২টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলাধীন খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খর্নিয়া লোহাগড়া নামক স্থানে আসলে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করে। রুবেল নামক এক ব্যক্তি তাকে রক্ষা করতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকেও মারপিট করে আহত করে। বাদীর ব্যাগে রক্ষিত নগদ একলাখ পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা গ্রহণ না করলে বাদী মিতা আদালতে মামলা দায়ের করেন। শুনানী শেষে আদালত অভিযোগটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। সে মতে, পিবিআই তদন্ত শেষে গত ১২ এপ্রিল আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কেএম মাহফুজুল হক। ওই প্রতিবেদনের ওপর গত ৮ আগস্ট শুনানী শেষে আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।