বিনোদন ডেস্ক: না ফেরার দেশে প্রখ্যাত মার্কিন গায়ক ও অভিনেতা ক্রিস ক্রিস্টোফারসন। ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তার পরিবার জানিয়েছে, তিনি গত ২৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে মারা যান। কান্ট্রি মিউজিকের এই কিংবদন্তি শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৮৮। ক্রিস ক্রিস্টোফারসনের মৃত্যুর কারণ জানানো হয়নি।
কোভিডের সময় থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ক্রিস্টোফারসন, ২০২১ সালে গান থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। ব্যক্তিজীবনে তিনবার বিয়ে করেন ক্রিস্টোফারসন। তৃতীয় স্ত্রী আর আট সন্তান রেখে গেছেন তিনি।
কেবল গায়ক হিসেবেও নয়, গীতিকার হিসেবেও ক্রিস্টোফারসন ছিলেন সমীহ–জাগানিয়া এক নাম। গ্র্যামিজয়ী এই শিল্পী ‘সানডে মর্নিং কামিং ডাউন’, ‘মি অ্যান্ড ববি ম্যাকগি’র মতো জনপ্রিয় গান লিখেছেন।
অনেক দিন ধরে একক শিল্পী হিসেবে পারফর্ম করলেও আশির দশকের মাঝামাঝি জনি ক্যাশ, ওয়েলন জেনিং ও উইলি নেলসনের সঙ্গে গানের দল ‘দ্য হাইওয়েমেন’-এর সঙ্গে পারফর্ম করেন ক্রিস্টোফারসন।
কেবল গায়ক নন, অভিনেতা হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন ক্রিস্টোফারসন। তার সবচেয়ে আলোচিত কাজ ‘আ স্টার ইজ বর্ন’। ১৯৭৬ সালে এ সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জেতেন। তার আরেকটি আলোচিত কাজ ‘ব্লেড’।
১৯৩৬ সালের ২২ জুন টেক্সাসে জন্ম ক্রিসের। বাবা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে, তাই ছোটবেলা কেটেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায়। অক্সফোর্ড থেকে পড়াশোনা শেষে বাবার পথ ধরে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ক্রিস।
তবে গান চালিয়ে যান সমানতালে। একপর্যায়ে গানের নেশা পুরোপুরি পেয়ে বসে, গান লেখার জন্যই সেনাবাহিনী ছাড়েন। ১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘ক্রিস্টোফারসন’। পরে নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও নিয়মিত অ্যালবাম প্রকাশ করেন, সর্বশেষ অ্যালবাম ‘দ্য সিডার ক্রিক সেশন’ প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে।
গানে গানে নিঃসঙ্গতা, প্রেমের গল্প বলেছেন ক্রিস্টোফারসন। ইংরেজি কবি উইলিয়াম ব্লেক ছিলেন তার সবচেয়ে প্রিয়। গানের সঙ্গে অভিনয়ও ক্যারিয়ারও শুরু করেন তিনি, কাজ করেছেন স্যাম পিকিনপা, মার্টিন স্করসেজির মতো নির্মাতাদের সঙ্গে।
১৯৮০ সালে ‘হ্যাভেস গেট’ ফ্লপ হওয়ার পর ক্রিস্টোফারে অভিনয় ক্যারিয়ারে ভাটা পরে। পানাহারের অভ্যাসের কারণে ব্যক্তিজীবনও হয়ে পড়ে অগোছালো।
ঊষার আলো-এসএ