ঊষার আলো রিপোর্ট : প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা করেন রোমভিত্তিক আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হুংবো। বর্তমানে বাংলাদেশকে ইফাদের সর্ববৃহৎ পোর্টফোলিও হিসেবে আখ্যায়িত করে সম্পদ ব্যবহারে বাংলাদেশের সক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি।
গত ৫ জুলাই ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান ইফাদে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র দেন। এ সময়ে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা করে ইফাদের প্রেসিডেন্ট।
ইতালির রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা এবং ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণে বাংলাদেশকে অব্যাহত সহায়তার জন্য ইফাদ প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ইফাদের ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার জন্য গিলবার্ট এফ হুংবোকে অভিনন্দন জানিয়েছে রাষ্ট্রদূত। গ্রামীণ অঞ্চল ও প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য রবার্ট হুংবো যেসব প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে, তা অব্যাহত রাখার জন্য তার এ পুনঃনিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন শামীম আহসান।
তিনি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ ১.৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল গঠনে ইফাদ প্রেসিডেন্টের গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করে। এর মাধ্যমে ২০২২-২০২৪ মেয়াদে উন্নয়নশীল দেশগুলো ইফাদ থেকে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান ও ঋণ সহায়তা গ্রহণে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ আগামী দিনগুলোতে ঋণ ব্যবহারের সামর্থ্য ও সক্ষমতার বিবেচনায় ইফাদের মূল তহবিল থেকে ঋণ সহায়তা গ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য তহবিল যেমন: ধারকৃত সম্পদ, ক্লাইমেট ফান্ড, বেসরকারি তহবিল থেকেও প্রয়োজনীতার নিরিখে সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারে। বাংলাদেশের এ সক্ষমতা অর্জন বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেন ইফাদ প্রেসিডেন্ট।
এছাড়া, তিনি ইফাদ থেকে সর্বোচ্চ উন্নয়ন সহায়তা গ্রহণ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথম সারির দেশ হওয়ার পাশাপাশি ইফাদের নির্বাহী পর্ষদে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী গুটিকয়েক দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে অন্যতম বলে অভিহিত করেছেন।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সেলর ও রোমভিত্তিক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মানস মিত্র এবং ইফাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিল।
(ঊষার আলো- এম.এইচ)