UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আমদানি করা দেড় হাজার টন পেঁয়াজ বন্দরেই পঁচে যাচ্ছে

usharalodesk
মে ২১, ২০২১ ১০:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউনে টেকনাফ স্থলবন্দরের অনেক শ্রমিক কর্মস্থলে যোগ দিতে পারছেন না। ফলে শ্রমিকের অভাবে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ১৫টি ট্রলারের দেড় হাজার টন পেঁয়াজ খালাসের অপেক্ষায় পঁচে যাচ্ছে। এছাড়া আরও অন্যন্য মালামাল ভর্তি ১৫টি ট্রলার ঘাটে পড়ে রয়েছে। দ্রুত এসব মালামাল খালাস করা না হলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের মতে, লকডাউনের কারণে অনেক শ্রমিক কর্মস্থল টেকনাফ স্থলবন্দরে যোগ দিতে পারেননি। এতে করে অন্যদিনের তুলনায় স্থলবন্দরের সব ধরনের কার্যক্রমে সমস্যা দেখা দেয়। ইতোমধ্যে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কাছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মালের ট্রলারসহ বিভিন্ন মালামালের ২০টি ট্রলার ঘাটে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এরই মধ্যে ঘাটে নোঙরে থাকা ট্রলারভর্তি পেঁয়াজ ও মাছে পঁচন ধরেছে। এ অবস্থায় বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে দ্রুত পণ্য খালাসের ব্যবস্থা নিতে আহবান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হঠাৎ করে লকডাউনের কারণে অনেক শ্রমিক কাজে যোগ দিতে পারেননি। এতে শ্রমিকের অভাবে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ও মাছসহ ৩০টি বিভিন্ন মালামালের ট্রলার খালাস করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করছি পঁচনশীল পেঁয়াজ ও মাছ খালাস এবং ডেলিভারি দ্রুত সম্পন্ন করতে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় থাকা ১৫টি ট্রলারের ৩০ হাজার বস্তায় দেড় হাজার টন পেঁয়াজ রয়েছে। যা ইতোমধ্যে পঁচতে বসেছে। সর্বশেষ শুক্রবার (২১ মে) সকালে মিয়ানমার থেকে দু;টি ট্রলারে ১২০ টন পেঁয়াজ স্থলবন্দর ঘাটে পৌঁছেছে।
ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পাঁচ হাজার বস্তা পেঁয়াজের ট্যাক্সসহ সব কার্যক্রম শেষ করেছি। কিন্তু শ্রমিকের অভাবে পেঁয়াজ ভর্তি ট্রলারগুলো এখনও ঘাটে খালাসের অপেক্ষা রয়েছে। এমনিতে পেঁয়াজ পঁচনশীল, এভাবে ঘাটে পরে থাকলে ট্রলারে সব পঁচে যাবে। তাই দ্রুত পেঁয়াজগুলো খালাস শেষে ডেলিভারি সম্পন্ন করতে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি। তা না হলে বড় ক্ষতির সম্মুখিন হবেন ব্যবসায়ীরা।’
টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ এবং মাছে পঁচন ধরেছে। এতে করে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক লোকসান হচ্ছে। তাছাড়া বন্দর থেকে সরকার কোটি-কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছেন। তাই সেটি বিবেচনা রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ চৌধুরী জানান, টেকনাফ স্থলবন্দর সম্পূর্নভাবে লকডাউনের আওতামুক্ত। তারা সব ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালাতে পারবে। শুনেছি শ্রমিকের সংকটের কারণে বন্দরের কার্যক্রম কিছুটা কমেছে। তবে প্রয়োজনে তারা আশপাশের শ্রমিক দিয়ে কাজ চালাতে পারেন। এতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও বাঁধা থাকবে না বলে জানান তিনি।

(ঊষার আলো-এমএনএস)