UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় হাসপাতালে প্রেমিক যুগলের বিয়ে

usharalodesk
জুন ১৮, ২০২১ ২:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বেসরকারি একটি হাসপাতালের কেবিনে প্রেমিক যুগলের বিয়ে ও বাসর সম্পন্ন হয়েছে।
১৭ জুন বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্যরাতে বিয়ের পর সেখানেই তারা রাত্রিযাপন করেছেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আলমডাঙ্গা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের অনার্স পড়ুয়া ছেলে হুসাইন আহমেদের (২৩) ডান পা ভেঙ্গে যায়। ভাঙ্গা পা নিয়ে তিনি গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার ফাতেমা ক্লিনিকের ৪ নম্বর কেবিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। তার দেখাশোনার জন্য সেখানে তার মা-বাবা ও বোন রয়েছে।
হুসাইন আহমেদের পা ভেঙে হাসপাতালে কষ্টে আছে এমন খবর পেয়ে ঝিনাইদহের লেবুতলা গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার ছুটে আসে প্রেমিকা তাসফিয়া সুলতানা মেঘা (১৯)। সব কিছু জানার পর হুসাইন আহমেদের স্বজনরা মেঘার বাবার সঙ্গে কথা বলে। ঘটনা শুনে মেঘার বাবা মেয়েকে বাড়িতে নিতে অস্বীকার করে। সম্ভব হলে বিয়ে দিয়ে দেবার পরামর্শ দেন তিনি। বিয়েতে রাজি হন মেঘাও। পরে গভীর রাতে হাসপাতালের কেবিনেই কাজি ডেকে তাদের বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর সেখানেই তারা রাত্রিযাপন করে।
হাসপাতাল এলাকার এক বাসিন্দা জানান, বিয়ের খবরটি ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে নব দম্পতিকে দেখার জন্য ভিড় জমে।
হুসাইন আহমেদের বাবা আব্দুস সোবহান বলেছেন, মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে আমাদের পূর্ব থেকেই পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের বিয়ে আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে মেয়েটি ক্লিনিকে চলে এসেছে। এরপর আমি মেয়ের পিতার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলি। মেয়ের বাবা এভাবে বিয়ে দিতে রাজি না। কিন্তু মেয়েটি বিয়ে না করে এখান থেকে যাবে না এরকম জেদ ধরার পর মধ্যরাতে কাজি ডেকে বিয়ে দেয়া হয়।
ফাতেমা ক্লিনিকের মালিক মুনজুর আলী বলেছেন, ছেলের বাবা আব্দুস সোবহান আমার বাল্য বন্ধু। বন্ধুর ইচ্ছাতে তার ছেলের বিয়ে আমার ক্লিনিকে হয়েছে। ক্লিনিকে এরকম একটা বিয়ে হয়েছে এ জন্য আমারও ভালো লাগছে।

(ঊষার আলো- এম.এইচ)