UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালিশপুরে কঠোর বিধি নিষেধ জনজীবনে প্রভাব ফেলেনি, চলাচল স্বাভাবিক

usharalodesk
জুন ৪, ২০২১ ১০:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

উষার আলো প্রতিবেদক : জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি গত বুধবার (২ জুন) খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খুলনা আপাতত লকডাউন নয় তবে শুক্রবার (৪ জুন) হতে এক সপ্তাহের জন্য খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর থানাসহ এবং জেলার রুপসা উপজেলাতে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা সিধান্ত গ্রহণ পূর্বক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত স্থানগুলোতে দোকানপাট, শপিংমল, মার্কেট বন্ধ থাকবে, কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদিদোকান বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। নির্ধারিত সময়ের পরে এ সব দোকান আর খোলা যাবে না। ক্রেতা ও বিক্রেতাকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে। ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চলাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এবং ঔষধের দোকান সার্বক্ষনিক খোলা থাকবে। হোটেল রেস্তারায় বসে খাওয়া যাবে না তবে পার্সেল করা যাবে। সন্ধ্যার পর রাস্তা বা মোড়ে বা স্থানে একের অধিক কেউ অবস্থান বা একসাথে চলাফেলা করা যাবে না। এমন নির্দেশনায় প্রজ্ঞাপন জারি করেন জেলা পর্যায়ে করোনা ভাইরাস এর সংক্রমন ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। সংক্রমণ রোধে আজ শুক্রবার (৪ জুন) হতে সাত দিনের কঠোর বিধি নিষেধ মাধ্যমে যে সংক্রমন রোধের যে নেতিবাচক দিক বিবেচনা করা হয়েছে বাস্তবে তার কোন রুপ ফল মিলছে না, এমন চিত্র উঠে এসেছে কঠোর বিধি নিষেধের প্রথম দিনে মহানগরের খালিশপুর থানাঞ্চলের সর্বত্রে। কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলির নিষেধাজ্ঞা আরোপের উপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে অভিযান অব্যহত থাকলেও শিল্পাঞ্চলের সাধারণ মানুষ তার বাস্তবায়নে নারাজ।

সরেজমিনে, কঠোর বিধি নিষেধের প্রথম দিনে প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক ি চলাচল দেখা যায়। বিশেষ করে নজরকাড়া জনসমাগম পরিলক্ষিত হয়েছে মানষী বিল্ডিং মোড়, মুহসীন কলেজ মোড়, বকুল তথা, বিহারী কোলনী, জুট মিলগুলোর সম্মুখে চায়ের দোকান গুলোতে। তাছাড়া প্রায় অধিকাংশ দোকানই খোলা ছিল। কেউ কোনো বিধি নিষেধের তোয়াক্কা করেনি। এমন কি সাত দিনের কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যে নয়াবাটী হাজী শরীয়াতুল্লাহ বিদ্যাপীঠের সম্মুখে জনপ্রিয় কবুতরের হাট মিলন মেলা বসে তবে যেখানে কয়েক শতাধিক ব্যবসায়ী জনসমাগম সৃষ্টি করে কেনাবেচা করছিল। এ ব্যাপারে খালিশপুর থানা ওসিকে উষার আলো অনলাইন পোর্টাল অভিহিত করলে তিনি এ বৃহৎ জনসমাগম ছত্ত ভঙ্গ করে দেন। তবে বিআইডিসি রাস্তার দুপাশের দোকান সমূহ বন্ধ ছিল। এছাড়া রাস্তায় ইজিবাইক, মাহেন্দ্র , রিক্সা চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও পুলিশি বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে।
বিনাপ্রয়োজনে বাড়ীর বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও চায়ের দোকান খেলার মাঠ, মোড়ে মোড়ে উঠতি বয়সী তরুনদের আড্ডা প্রতীয়মান হয়েছে। তাছাড়া অনেকের মুখে মাস্কই নেই। যদিও মাস্ক দেখা গেছে তবে সেটা মুখে নয়, থুতনিতে বা পকেটে।
সাতদিনের লকডাউনে বাড়ীর বাইরে বের না হওয়া, দোকানপাট বন্ধ থাকার নির্দেশনা আরোপ করা হলেও দ্বিতীয় দিনেও সামাজিক দূরত্ব তথা জনসমাগম এড়িয়ে চলা, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধির মানার খুব কমই প্রবণতা দেখা গেছে থানাধীন এলাকায়। জেলা প্রশাসনের পরিচালিত ভ্রাম্যমান কোর্টের কারণে খালিশপুরের অধিকাংশ দোকান মালিকেরা ছিল আতংকে।
খালিশপুর থানার নতুন দায়িত্ব পাওয়া অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন জানান, জেলা প্রশাসন কর্তৃক সাত দিনের কঠোর বিধি নিষেধ কঠোর হস্তে পালন করা হচ্ছে। আমার থানাধীন এলাকায় ঘোষিত প্রজ্ঞাপনের আলোকে করোনা সংক্রমনের রোধের লক্ষে কঠোর বিধি নিষেধ পালনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়নসহ বিশেষ টহল ও চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। সাত দিনের কঠোর বিধি নিষেধ পালনে খালিশপুর থানা নিরালস ভাবে কাজ করে যাবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

(ঊষার আলো-এমএনএস)