UsharAlo logo
বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুলনার মার্কেটগুলোতে ঈদ কেনাকাটার মহোৎসব

usharalodesk
মে ৫, ২০২১ ৯:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। ঈদে চাই নতুন পোশাক। টানা এক মাস রোজা রাখার পর নতুন পোশাক পরে ঈদগাহে যাওয়া আর পরিবার পরিজন সকলকে নিয়ে নতুন পোশাকে ঈদের বাড়তি আনন্দ উপভোগ করার প্রশান্তিই আলাদা।
ঈদের বাকী আর মাত্র সাত দিন। সরেজমিনে, বুধবার (৫ মে) বিকেল ৪টায় খুলনার শপিংমল, আধুনিক বিপণী ক্রেতাদের কানায় কান্নায় পরিপূর্ণ কোথাও যেন পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত নেই। শাড়ি দোকান, জুতার দোকান, থ্রী-পিস কর্নার, শিশুদের বাহারী পোশাকের দোকানসহ প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানগুলোতে চলছে কেনাবেচার মহোৎসব। মহানগরীর আশপাশের অঞ্চল হতে ক্রেতারা এসেছে স্ব-পরিবারে, মহিলা-পুরুষ, শিশু-কিশোর, তরুন-তরুনীদের আগমনে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সাজ-সাজ রব বিরাজ করছে। যদিও দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনার দ্বিতীয় প্রকোপের কারণে লকডাউন চলছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে ক্রেতা বা বিক্রেতারা উভয় মুখে মাস্ক ব্যবহার করে কেনা বা বেচা করছে। বিপনগুলোতে সাজানো হয়েছে সারি-সারি সকল বয়সের ক্রেতাদের আধুনিক ডিজাইন আর বাহারী রং-বেরংয়ের পোশাক, জুতা-সেন্ডেল, প্রসাধনী, ব্যাগ, বেল্ট বা ঘড়ি-চশমা। ক্রেতাদের বাড়তি চাপ সামলাতে মালিকেরা নিয়োগ করেছেন বাড়তি কর্মচারীদের। প্রতিদিনই সকাল ১০ টার পর হতে ক্রেতাদের ঢল নামছে বাজারে। বেলা যত বাড়তে থাকে, ক্রেতা সমাগম তত বাড়তে থাকে। দোকান বন্ধের আগ পর্যন্ত চলছে একেধারে কেনাবেচা।
এ বছর তরুনীদের বেশি পছন্দের দরুন শাড়ীর দোকানগুলোতে শোভা পেয়েছে গ্যাস সিল্ক, বেনারসি, জামদানী, সিল্ক, কাতান, ঝুট জামদানী। তবে একটু বয়স্কদের জন্য প্রিন্টের শাড়ি আর টাঙ্গাইল শাড়ির যেন বিকল্প কিছুই নেই।
বড় বাজারের জনতা শপিং কর্নারের বিক্রেতা নাইম জানান, এ বছর তরুনেরা বেশি শার্ট-প্যান্ট, গেজ্ঞি কিনছে। তবে পাঞ্জবির প্রতি একটু ঝোক কম। বেশির ভাগই ইন্ডিয়ান, থাই আর চায়না প্যান্ট আর গেজ্ঞি কিনছে।
জে.কে শপিং কর্নারের বিক্রেতা শায়লা জানান, প্রতিবছরই ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের মেয়েদের বা বাচ্চাদের পোশাক নাম ধরে চেয়ে নেয়। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে সিরিয়ালের পোশাকই নেই। তবে বেশি বিক্রি হচ্ছে। মেয়েদের লং গাউন, ছোটদের স্কার্ট, ফ্রক, আর টপস্সহ আধুনিক বিভিন্ন ডিজাইনের লেডিস আইটেম।
ডাকবাংলা সম্রাট সু বাজারের ম্যানেজার জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানে হরেক ডিজাইনের জুতা-সেন্ডেল উঠিয়েছি সব বয়সের ক্রেতাদের জন্য। মহিলাদের এ ঈদে বেশি চলছে সু, সেন্ডেল, পেন্সিল সু, নাগড়া, চায়না সেন্ডেল। পুরুষদের দুই ফিতা সেন্ডেল, সাইকেল সু, লুফার। বাচ্চাদের চায়না, থাই, কেস, সু-সেন্ডেল প্রভৃতি। কেনাবেচার সাড়া খুব ভালো। বাড়তি চাপ পড়তে শুরু করেছে। পিকচার প্যালেসের প্রধাসনী বিক্রেতা মুরাদ জানান, ঈদ উপলক্ষে চুড়ি, কাঁকড়া, আইলিনার, মাসকারা, কানের দুল, কাজল, সেট, ক্রিম, পারফিউম, মেহেদী সহ বিভিন্ন ধরণের প্রসাধনী কিনছে উঠতি তরুনীসহ বাচ্চারা।
এছাড়া, নিউ মার্কেট, খুলনা রেলওয়ে মার্কেট, বড় বাজার, শপিং কমপ্লেক্স, জলিল টাওয়ার, আড়ং, সেইভ এন্ড সেইফ, দৌলতপুর মোর্ত্তজা ম্যানশন, আশা বস্ত্রালয়, মের্সাস সংসার, সম্রাট সু, ওয়েলকাম সু, খালিশপুর সুপার মার্কেট, ফুলবাড়ীগেট বাজার, শিরোমনি কেডিএ মার্কেট, শিরোমনি বাজার, বৈশাখী মার্কেট, ফুলতলা বাজার বনিক সমিতি মার্কেট সহ মহানগরীর সকল আধুনিক বিপনন কেন্দ্রগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি নজরকাড়ার মতো।
খুলনা বৈকালী হতে আসা ক্রেতা শামিমা সুলতানা জানান, আর এক সপ্তাহ পরে ঈদ। ঈদের দু’তিন দিন আগে বাজারে খুব ভীড় হবে। তাই পরিবারের সকলের কেনাকাটার জন্য বাজারে এসেছি।
আটোচালক কালাম, স্ত্রী আর মেয়েকে নিয়ে এসেছে রেলওয়ে মার্কেটে। তার অভিযোগ কাস্টমার বেশি দেখে দোকানদাররা দাম বেশি চাচ্ছে। তবে অবশেষে কেনা হয়েছে বলে তিনি জানান। সবমিলিয়ে ঈদে এই পূর্ব মুহুর্তে ক্রেতা সমাগমে মুখরিত মহানগরীর আধুনিক বিপনীসহ সকল মার্কেটগুলি। ক্রেতাদের আগমনে ব্যবসা করতে পেরে ব্যবসায়ীরাও বেশ খুশি।ৎ

(ঊষার আলো-এমএনএস)