ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজন মারা গেছেন। এ নিয়ে বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৫৩ জন। এদিকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮১ জন। এ নিয়ে বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৮৭২ জন।
বুধবার (২ জুন) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানার পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২ হাজার ৬৯৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০৬ জন সুস্থ হয়েছেন। বিভাগে করোনায় আক্রান্তের পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৩১ হাজার ৫২৪ জন। সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা সংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১৫ দিনে (১৯ মে-২ জুন) বিভাগে ২ হাজার ৪৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে ৫৬ জন মারা গেছেন। গত ১০ দিনে মারা গেছেন ৩৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনা জেলায় রয়েছেন ৫৬ জন। তাঁদের মধ্যে নগরের ৪৬ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে ৫১ জন, যশোরে ৬২, সাতক্ষীরায় ২৯, নড়াইলে ৮, মাগুরায় ৩, মেহেরপুরে ২১, চুয়াডাঙ্গায় ১৩ জন, ঝিনাইদহে রয়েছেন ৭ জন এবং কুষ্টিয়ায় ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগের জেলাভিত্তিক হিসাবে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৩৭১ রোগী শনাক্ত হয়েছেন খুলনা জেলায়। এর মধ্যে খুলনা শহরেই শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৪৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৬৫ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১ হাজার ৯৯৯ জন, যশোরে ৭ হাজার ৭৬ জন, ঝিনাইদহে ২ হাজার ৯২১ জন, কুষ্টিয়ায় ৫ হাজার ৮ জন, মাগুরায় ১ হাজার ২৫৯ জন, মেহেরপুরে ১ হাজার ২৭ জন, নড়াইলে ১ হাজার ৮৮৬ জন এবং সাতক্ষীরায় ১ হাজার ৬৬০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা ও কুষ্টিয়ায় ২ জন করে এবং বাগেরহাটে ১ জন করোনা রোগী মারা গেছেন। বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির মধ্যে খুলনা জেলায় রয়েছেন ১৭৬ জন (খুলনা নগরের ১৩৭ জন), কুষ্টিয়ায় ১১৬ জন, যশোরে ৮১ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৬২ জন, ঝিনাইদহে ৫৫ জন, সাতক্ষীরায় ৪৭ জন, বাগেরহাটে ৪৩ জন, নড়াইলে ২৭ জন, মাগুরায় ২৩ জন এবং মেহেরপুরে ২৩ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। গত বছরের ২৩ জুলাই এ সংখ্যা ১০ হাজার এবং ১২ আগস্ট ১৫ হাজার ছাড়ায়। চলতি বছর ১ জানুয়ারি ২৫ হাজার, গত ২৬ মে সাড়ে ৩৩ হাজার, ৩০ মে শনাক্ত ৩৪ হাজার ছাড়ায় এবং ১ জুন শনাক্ত সাড়ে ৩৪ হাজার ছাড়ায়।
(ঊষার আলো-এসএস)
