ঊষার আলো প্রতিনিধি : নগরীর দৌলতপুর ফলবাজারে এখন তালিকায় বেশ জনপ্রিয় স্থান ফলের রাজা আমের। ফলের দোকানগুলোতে থরে-থরে সাজানো হয়েছে রকমারী জাতের পাঁকা-পাঁকা আমে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে খুচরা বাজারসহ পাইকারী আড়তগুলোতে আমের সরবরাহ প্রচুর থাকলেও বাজারে ফল কিনতে আসা ক্রেতাদের আম কেনার আগ্রহ খুবই কম।
সম্প্রতি দৌলতপুর বাজারে প্রচুর আমের সরবরাহ। হিমসাগর, গোপাল ভোগ, গোবিন্দ ভোগ, লাল বোম্বাই জাতের আমের দেখা মিলছে। যা দৌলতপুর বাজারের স্থানীয় পাইকারী ফল ব্যবসায়ীদের নিকট হতে ক্যারট দরে কিনে এনে খুচরা বাজারে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। বর্তমান বাজারে যে আম সরবরাহ হচ্ছে তা সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে আসছে বলে জানিয়েছে খুচরাসহ পাইকারী বিক্রেতারা। তবে আমের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। আম সরবরাহের তুলনায় কেনাবেচা কম বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর বাজারের ফল ব্যবসায়ীরা। যদিও দাম আকাশ ছোয়া নয়। পরিবারের স্বজনদের অতিপ্রিয় আর পছন্দের ফল আম হলেও আম কিনতে একটু পিছু পা হচ্ছে অধিকাংশই। এর একটি মাত্র কারণ তা হলো বাজারে আসা ক্রেতাদের কোনো ভাবেই রাসায়নিক প্রয়োগের ভীতি কাটছেনা যে কারনে অনেকেই আম কিনতে শংঙ্কিত। আম খেতে মন চাইলেও বর্তমানে সচেতন মহল আম রাসায়নিক প্রয়োগের মাধ্যমে পাঁকানো হচ্ছে, সেই আতংকে আম কিনতে নারাজ। তাই দাম সস্তা হলেও ক্রেতা কম নগরীর দৌলতপুর আম বাজারে। তাছাড়া ফল বাজার ছাড়াও পাশের রেল লাইনের মাঝে বিছিয়ে ৩ কেজি ১০০ টাকা দরে হাঁক ডাকেও বিক্রি হচ্ছে আম। তাছাড়া হিমসাগর ৫০ হতে ৬০ টাকা, হিমসাগর ক্যাট ৪০ টাকা, ল্যাংড়া ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদি বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট বিভিন্ন জাতের আম সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে সেনুসারে সকল প্রকার গুটি আম ১৫ মে, লক্ষনভোগ/লক্ষনা ও রানীপছন্দ ২৫ মে, হিমসাগর/ক্ষিরসাপাত ২৮ মে, ল্যাংড়া কৃষি গবেষণার তথ্যনুসারে বাজারে সে সকল আম পাওয়া যাচ্ছে তা এখন সময় সীমানুসারেই বাজারে এসেছে। তবুও সচেতন মহলের আম কেনার প্রতি বেশ অনিহা আর ভীতি। আম কিনতে আসা ক্রেতা ব্যবসায়ী রাশিকুল আনাম রাশু জানান, বাজারে প্রচুর আম উঠেছে। বাড়ী থেকে আম কিনতে বলেছে কিন্তু কিনতে ভয় লাগছে। তবু কিনলাম। তবে কোনো কোনো আম টক আর কোনো কোনা আম মিষ্টি তবে একই স্থান হতে কেনা হয়েছে। আম বিক্রেতা হাসান জানান, বর্তমানে বাজারে ক্রেতা একটু কম। কারণ মাসের প্রথম এবং ঈদ পরবর্তী মাস তাই অনেকেই হাতটান তাই, ক্রেতা কম।
(ঊষার আলো-এমএনএস)