UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগরীতে বৃদ্ধা মায়ের প্রতি অবহেলার অভিযোগ

usharalodesk
জুন ৩, ২০২১ ১০:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : নগরীর দক্ষিণ টুটপাড়াস্থ সার্কুলার রোড এলাকায় বৃদ্ধা মায়ের সেবা শুশ্রুষায় ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। বৃদ্ধা মায়ের কাছ থেকে কৌশলে তার শেষ সম্বল লিখে নিলেও শেষ বয়সে এসে মাকে দেখাশোনা করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তার ছোট মেয়ে কিসমত জাহান কচি।
সাংবাদিকদের কাছে করা এক লিখিত অভিযোগে ছোট মেয়ে কিসমত জাহান কচি উল্লেখ করেন, নগরীর ৮ নং দক্ষিণপাড়া সার্কুলার রোডস্থ গাজী মঞ্জিলের বাসিন্দা তার মা আঞ্জুমান আরা বেগম। যার বয়স এখন একশ’র কাছাকাছি। তিনি বেশ অসুস্থ। নিজে চলাচল করতে পারেন না। তিনি অসুস্থ থাকায় কৌশলে তার বড় ভাই গাজী আবুল হাসান বাবু মায়ের কাছ থেকে তার শেষ সম্বল জমিটুকু লিখে নেয়। এরপর বৃদ্ধা মাকে তার ঘর থেকে বের করে দেয়। গত তিন বছর যাবত গাজী মঞ্জিলের ওই বাড়িতে নিজ (মায়ের) অংশে বসবাস করছেন মা এবং তিনি (ছোট মেয়ে) তার দেখাশোনা করে আসছেন। কিন্তু এর মধ্যে তিনি অসুস্থ থাকায় গত ১৮ মে নিজ বাসা সরকারপাড়া থেকে যেতে বিলম্ব হয়। বিকেলে গিয়ে তার বৃদ্ধ মাকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। অথচ একই বাড়িতে বড় ছেলে গাজী আবুল হাসান বাবু এবং তার স্ত্রী মাসুমা বেগম বসবাস করলেও সারাদিন তারা মায়ের খোঁজ নেননি। মায়ের প্রতি তাদের এ ধরণের অমানবিক আচরণে তিনি চরমভাবে মর্মাহত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
ছোট মেয়ে কচি আরো অভিযোগ করেন, মায়ের প্রতি তার ভাই এবং ভাবির আচরণ দেখে মনে হয়েছে তারা যেন বৃদ্ধা মাকে খাবার দেয়ার নামে ভাগাড়ে ময়লা ফেলার মত আচরণ করছেন। মায়ের শেষ জীবনের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে ছেলের অংশে রেখে জীবনের বাকি সময়টুকু ছেলে ও পুত্রবধূকে মায়ের প্রতি মানবিক দায়িত্ব পালনের দাবি জানান তিনি।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে বড় ছেলে গাজী আবুল হাসান বাবু বলেন, মাকে আমরাই দেখাশোনা করি, খাবার দেই। কিন্তু সম্প্রতি আমি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকার কারণে মা ছোট বোনের দায়িত্বে ছিল। তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমরাই তার চিকিৎসা করেছি। তারপরও যদি ছোট বোন তার দেখভাল করতে না পারে তাহলে আমাদের কাছে এনে রাখবো।

(ঊষার আলো-এমএনএস)