UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগরীতে করোনার প্রভাবে ডেকোরেটর ব্যবসায় ধ্বস, নেই কাঙ্খিত সাড়া

usharalodesk
জুন ৪, ২০২১ ১০:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমন বৃদ্ধির কারণে সরকারী প্রজ্ঞাপণ জারিতে সকল প্রকার সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক সভা, সেমিনার, মিটিং-মিছিল, জনসমাবেশ, ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদী বাতিল করার নির্দেশনা আরোপ করা হয়েছে। তাছাড়া প্রায় দেড় বছরের অধিক সময়ে করোনার আর্বিভাব আর দীর্ঘ লকডাউনের কোষাঘাতে ডেকোরেটর ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে সমগ্র মহানগর জুড়ে । ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা সারা বছর সামাজিক অনুষ্ঠান বিয়ে সুন্নতে খাতনা, জন্মদিন, আকিকা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ওয়াজ মাহফিল, হিন্দু সম্প্রদায়ের আচার অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানাদীর মধ্যে মিটিং মিছিল, জনসমাবেশ, সভা- সেমিনার ছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালতের নানা দিবস পালনসহ বেশ ব্যস্ত সময় পার করতো। কিন্তু করোনা নামক প্রাণঘাতি ব্যাধির প্রভাবে সমগ্র নগরী জুড়ে ডেকোরেটর পেশার সাথে যুক্ত ব্যবসায়ী আর বার্বুচীরা সর্বশান্ত প্রায়। যেহেতু সরকারী নির্দেশনা কোন অবস্তাতেই জনসমাগম করা যাবে না, আর সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলতে নির্দেশনার কারণে সমাজের সচেতন মহলও এই করোনা সংকটকালীন মুহুর্তে কোন প্রকার সামাজিক অনুষ্ঠান তথা বিয়ে, সুন্নাতে খাতনা, জন্মদিনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান জাঁক জমকভাবে করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে। যে কারণে সামাজিক, রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক কোন প্রকার অনুষ্ঠানের কাংখিত সাড়া মিলছেনা এই ব্যবসায়। ঘর ভর্তি মালামাল থাকলেও ব্যবসায়ী বসে অসল সময় পার করছেন। নগরীর ডেকোরেটর ব্যবসায়ীদের আয় রোজগার বন্ধ থাকায় মালিক কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছে, কিন্তু লজ্জায় কারো নিকট বলতে পারে তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা। যার দরুন নগরীর অধিকাংশ ডেকোরেটর ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যক্তিদ্বয় এ পেশা ছেড়ে জীবন যাপনের জন্য বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে ভিন্নি ভিন্ন পেশা। কেউ কাচা সবজির ব্যবসা, অন্যের দোকানে কর্মচারী, ডিমের ব্যবসা, কেউ কেউ আবার চায়ের দোকান দিয়ে বসেছে। কারন আগের সেই ডেকোরেটরের জমজমাট ব্যবসা নেই, নেই কাংক্ষিত টাকা উপার্জনের পথ, তাই পরিবারের সদস্যদের মোটা কাপড় আর ডাল ভাতের ব্যবস্থার জন্য এ পেশার মানুষকে আজ নামতে হয়েছে ভিন্ন পেশায়। মনির ডেকোরেটরের মালিক মনির জানান, করোনা আমার সবকিছু কেনে নিয়েছে। ব্যবসা না থাকায় দোকান ছেড়ে দিতে হয়েছে। তাছাড়া প্রতি সপ্তাহে সমিতির কিস্তিতো আছেনই। বর্তমানে কোন কাজ নেই। নুন আনতে পানতা ফুরাচ্ছে।
বার্বুচি জহুর জানান, করোনার প্রভাবে সকল প্রকার অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আর কত দিন বসে প্রহর গুনবো, পেটতো আর কথা শোনে না। তাই ডেকোরেটরের দোকানকেই চায়ের দোকান বানিয়েছি। বার্বুচি এনায়েত ও সুজন একই কথা জানিয়েছেন। সুজন এখন একজন ভ্রাম্যমান ভ্যানে আচার বিক্রেতা। সবমিলিয়ে ডেকোরেটরের ব্যবসায় ধ্বস নামায় এ পেশার লোকেদের জীবন কাটছে দুঃখ-দুর্দশায় আর ঘোর হতাশায়।

(ঊষার আলো-এমএনএস)