UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধুত্ব ও রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখতেই ভারতে ইলিশ রপ্তানি : সিটি মেয়র 

koushikkln
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১ ৪:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ইলিশ এখন অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। সে কারণেই বন্ধুত্ব ও রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখতেই পূঁজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। তবে সেটি স্বল্প সময়ের জন্য। ২৫ অক্টোবরের পর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আবারও কম দামে ইলিশ খেতে পারবে।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গল্লামারীস্থ মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের সম্মেলন কক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। জেলা মৎস্য অফিস এর আয়োজক।

মেয়র আরও বলেন, আঠারোবেকী নদী স্বাভাবিক নেই। এ অঞ্চলের নদ-নদী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে ইলিশের বিচরণ বাড়বে। তিনি সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় পোণা আহরণ করতে যেয়ে অন্য প্রজাতির মাছের পোণা নষ্ট না করার জন্য জেলেদের প্রতি দাবি রেখেছেন।

সেমিনারে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, খুলনা জেলার দিঘলিয়া, তেরখাদা, রূপসা, দকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলার নদ-নদীতে বছরে ১৪শ’ মেট্টিক টন ইলিশ উৎপাদন হচ্ছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী ১৬ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে। জেলার কাজীবাছা, রূপসা, ভৈরব ও আঠারোবেকী নদীতে ইলিশ বিচরণ করছে। মা ও জাটকা নিধন বন্ধ হলে এবং মধুমতি ও গড়াই নদীর প্রবাহ বাড়লে খুলনাঞ্চলে ইলিশ উৎপাদন আরও বাড়বে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, প্রথম দফায় ৬৫ দিন এবং দ্বিতীয় দফায় ২১ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় খুলনার সাড়ে চারশ’ জেলে পরিবারকে বিকল্প কর্মসংস্থানের আওতায় আনা হয়েছে। বক্তারা আশা করেছেন মা ও জাটকা ইলিশ ধরা বন্ধ হলে ইলিশ সম্পদের উৎপাদন বাড়বে। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বড় অংকের টাকা আয় করা সম্ভব হবে।

জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকদার এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। আমন্ত্রিত অতিথি ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মো: জিয়া হায়দার চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য’র মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুত দাইয়ান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মৎস্য মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক প্রফুল্ল কুমার সরকার, নৌ-পুলিশের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার শেখ মো: আবু যাহিদ, কোস্ট গার্ডের মোংলাস্থ প্রতিনিধি কবির হোসেন, ফ্রোজেন ফুড্স এক্সপোটার্স এ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি মো: হুমায়ুন কবির, দাকোপ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন, দাকোপ ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়, মৎস্যজীবী দাকোপ উপজেলার পানখালী গ্রামের মো: ওমর আলী শেখ, রূপসা উপজেলার আইচগাতীর শামিম খান বাবু, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সহ সভাপতি বিকাশ চন্দ্র বিশ^াস। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব কুমার পাল।

সভায় উল্লেখ করা হয়, নভেম্বর-জুন পর্যন্ত জাটকা ধরা নিষিদ্ধ, মা ইলিশ রক্ষা ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ইলিশ সম্পদকে সংরক্ষণ করতে হবে এবং তা রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসককে সভাপতি, জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নদ-নদীতে কোনো মৎস্য আহরণ না করার ওপর বক্তারা গুরুত্বারোপ করেছেন।