UsharAlo logo
শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

usharalodesk
এপ্রিল ৭, ২০২৩ ১০:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আরিফুর রহমান, বাগেরহাট : বাগেরহাটের ফকিরহাট এলাকায় ২০২০ সালে গভীর রাতে বাসায় ঢুকে একজন এনজিও কর্মীকে গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব।

গ্রেফতার হওয়া সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ফিরোজ নিকারী (২৯) বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ছোট খাজুরা গ্রামের মিরাজ নিকারির ছেলে।

গোপন খবরের ভিত্তিতে খুলনা র‌্যাব-৬ এর সদর কোম্পানী এবং ঝিনাইদহ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাতে চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-৬ এর মিডিয়া সেল থেকে শুক্রবার সকালে দেয়া এক মেইল বার্তায় জানানো হয়, বাগেরহাট জেলার ফরিকরহাট উপজেলার জাড়িয়া মাইটকুমড়া এলাকার ভাড়া বাসায় থাকা একজন এনজিও কর্মীকে গত ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে আসামীরা ভিকটিমের বসত ঘরের দরজা খুলে সু-কৌশলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় ঘরে অবস্থানরত এনজিও কর্মীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ আনুষাঙ্গিক মালামাল লুটপাট করে। ডাকাতি শেষে আসামীরা ভিকটিমকে জোর পূর্বক গণধর্ষণ করে এবং তাদের অন্য এক সহযোগী সে ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে।

উল্লেখিত ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ করলে উক্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে আসামীরা পালিয়ে যায়। তখন ভিকটিম রুমের বারান্দায় এসে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। গত ৩ মার্চ বাগেরহাট জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক এসএম সাইফুল ইসলাম মামলার ৩ আসামী কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থ দন্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত ৩ আসামীর মধ্যে ফিরোজ নিকারী পলাতক ছিলো। এ রায় ঘোষনার পর থেকে খুলনা র‌্যাব-৬ পলাতক আসামী ফিরোজ নিকারির লোকেশন সনাক্ত করতে চেষ্টা করে অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।