UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাট শহরে আরও এক যৌন কর্মীর আত্মহত্যা

usharalodesk
জুলাই ৩০, ২০২১ ১২:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট জেলা শহরের প্রান কেন্দ্র কচুপট্রিতে ফারজানা আক্তার (২০) নামের একজন যৌনকর্মী গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার(৩০জুলাই) বাগেরহাট সদর হাসপাতালে তার লাশের ময়না তদন্তশেষে মোংলায় তার খালু বাড়ীতে নিয়ে দাফন করা হয়।

ফারজানা আক্তার লোহাগড়া ইতনা এলাকার আব্দুর রহমান সেখের মেয়ে। সে বাগেরহাট যৌনপল্লীর মাধু সাহার ঘর ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা করত। যৌন পল্লীতে থেকে বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার এক ছেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। আর এই প্রেমের কারনে নাকি ফারজানা আক্তার বুধবার রাতে ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে পড়ে। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সহকারি যৌনকর্মীরা ওই রাতেই তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

খবর পেয়ে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে লাশের সুরহতাল করে সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে বিকেলে মেয়েটির খালুর কাছে লাশ হস্তান্তর করে। ফারজানার আত্মহত্যার বিষয়ে যৌনপল্লীতে খোজ খবর নিতে গেলে পুলিশ ও বাড়ীওয়ালাদের ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন, ফারজানা খুব অল্প বয়সেই গত ২/৩ বছর ধরে এ পল্লীতে আছে। মাঝে মধ্যে মোংলায় তার আত্মীয়দের কাছে চলে যায়। সম্প্রতি অতিরিক্ত মাদক সেবন করে এবং অন্যদের সমস্যা করে। এ কারনে বাড়ী মালিক তাকে বের করে দেয়। পরে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কে ধরে কিছু টাকা দিয়ে আবার ওই ঘরে আসে।

এ ছাড়া ফারজানা এখানে অনেক দেনা হয়ে পড়ে। শহরের এক ছেলের সাথে প্রেম করে। ঈদের সময় গরুর মাংস রান্না করে প্রেমিককে খবর দিলেও সে আসে নাই। এসব কারনে ফারজানা বুধবার রাতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। গত ২/৩ মাস আগে স্বর্না নামে একজন যৌনকর্মী এখানে আত্মহত্যা করেছিল। বাগেরহাট মডেল থানার এসআই মামুন জানান, আমি হাসপাতাল থেকে মেয়েটির লাশ রিসিভ করে সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে তার খালুর হাতে হস্তান্তর করেছি। তবে কিভাবে কখন এবং কি কারনে আত্মহত্যা করেছে তা বলতে পারিনা। এ ঘটনায় বাগেরহাট মডেল থানায় একটি ইউডি মামলা রেকর্ড হয়েছে।

(ঊষার আলো-আরএম)