UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজেটের পরই নগরীর বাজারে আগুন

usharalodesk
জুন ৪, ২০২১ ১১:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : বাজেটের পরদিনই খুলনার কাঁচা বাজারে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। বাজেট পেশের আগেই দাম বেড়েছিল সয়াবিনের। তবে বাজেটের পরদিন শুক্রবার (৪ জুন) বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। মোটা চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার (৪ জুন) নগরীর মিস্ত্রিপাড়া কাঁচা বাজার, জোড়াকল কাঁচা বাজার, করের বাজার, নিউ মার্কেট কাঁচা বাজার, ময়লাপোতা কাঁচা বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বড় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন আগেই। বাজেট উপলক্ষে শুক্রবার (৪ জুন) থেকে সয়াবিনের বাড়তি দামের বোতল বাজারে ঢুকেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) পর্যন্ত ৫ লিটার বোতলের সয়াবিন বিক্রি হয়েছিল ৬৬৫ টাকায়। শুক্রবার (৪ জুন) তা বিক্রি হচ্ছে ৭২৮ টাকায়। একইভাবে সকাল থেকে বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। সাধারণ পেঁয়াজ (হাইব্রিড) বৃহস্পতিবার থেকে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। দেশি জাতের পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। আগে যা ছিল ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। একইভাবে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা।
মিস্ত্রিপাড়া কাঁচা বাজারের চাল ব্যবসায়ী লিটন মিয়া জানান, বাজেটের কারণে মোটা চালের দাম বেড়েছে। মিনিকেট চালের দাম যেটুকু কমেছিল বাজেটের পর সেটা আগের দামে ফিরে গেছে। মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা।
পেঁয়াজ-রসুন ব্যবসায়ী মো: রাজু বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। আগামীকাল (৫ জুন) থেকে দাম বাড়ার কথা। কিন্তু আজ থেকেই সব দোকানে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আজ সবাই ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দামে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছে।
নাম প্রকাশে খুলনার বড় বাজারের এক আড়ৎদাড় বলেন, মিনিকেট ১ নম্বরটা বেড়ে ৬২ টাকা হয়েছিল। পরে কমে ৫৬ টাকা হয়েছিল। আজ থেকে আবার ৬২ টাকা। মোটা চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায়।
এল রহমান স্টোরের মালিক মো: আশিকুর বলেন, আটা প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা।
সবজি ব্যবসায়ী পান্না বলেন, লম্বা বেগুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণের কাছাকাছি হয়েছে একদিনে। ২৮ টাকায় কিনে ৪০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ ৪০ টাকায় কিনে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। ৪০ টাকার শসা আজ বিক্রি করছি ৫০ টাকায়। খরচসহ আগে লাউ ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা পড়তো। বিক্রি করতাম ৪৫ টাকায়। আজ সেটা খরচই পড়েছে ৪৪ টাকা। বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০ টাকায়।

(ঊষার আলো-এমএনএস)