ঊষার আলো ডেস্ক : মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বরের পর হতে পেঁয়াজ আসতে শুর করে। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক ক্ষেত নষ্ট হওয়াতে দেশে গত এক সপ্তাহে ২৮০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজের থেকে তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় মিয়ানমারের পেঁয়াজের দিকে ঝুঁকছেন আমদানিকারকরা।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারের পাইকারদের তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার সেখানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬৫ টাকায়, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৫০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও সব পেঁয়াজের দাম ১৫ টাকা করে কম ছিল।
টেকনাফ স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ভারতে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা শুরুর পর থেকেই এই বন্দর দিয়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি বাড়তে শুরু করে। গত ১০ দিনে ২ হাজার ৮০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে মিয়ানমার থেকে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, টেকনাফ বন্দরে ২০ সেপ্টেম্বরের আগে দু-এক দিন পর পরই পেঁয়াজের নৌকা আসত। তবে এখন প্রতিদিন দু-তিনটি নৌকা আসছে পেঁয়াজ নিয়ে। কিন্তু মিয়ানমারের পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ায় দামও কিছুটা বেড়েছে। তা অবশ্য ভারতের চেয়ে কম। টেকনাফ স্থলবন্দর পর্যন্ত ২০ সেপ্টেম্বরের আগে পেঁয়াজের দাম ছিল ৩১ টাকা। গত বৃহস্পতিবার টেকনাফ পর্যন্ত দাম পড়ছে ৪০ টাকা।
জানা যায়, এখন সরকারিভাবে পেঁয়াজ আনার সুযোগ নেই। মিয়ানমারে লকডাউন থাকায় বিভিন্ন কোম্পানি, ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীর সাথে চুক্তিতে পেঁয়াজ আমদানি করছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।
(ঊষার আলো-এফএসপি)