UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুশতাক-তিশা ইস্যু নিয়ে এবার মুখ খুললেন জায়েদ খান

usharalodesk
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪ ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিনোদন ডেস্ক : বইমেলায় গিয়ে গত কয়েক দিন আগে কয়েক জন তরুণের রোষানলে পড়েছেন আলোচিত দম্পতি খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা। এর পরও বইমেলায় যাওয়া বন্ধ রাখবেন না বলে জানিয়েছেন তারা। এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন জায়েদ খান।

মুশতাক-তিশা প্রসঙ্গে আলোচিত নায়ক জায়েদ খান বলেন, শুধু একতরফা মুশতাক-তিশা দম্পতিকে দোষ দিলে চলবে না। যারা তাদেরকে ব্যবহার করে বই প্রকাশ করেছে তারাও দোষী।

প্রকাশনীকে দোষ দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জায়েদ খান এক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘দুইটা প্রকাশনী আমাকে খুব কনভিন্স করার চেষ্টা করেছিল, আমাকে নিয়ে বই বের করতে চায়। কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি।’

নায়কের ভাষায়, ‘আমি অভিনয় করি। একজন অভিনয় শিল্পী আমি, আমার কাজ অভিনয় করা। অনেকভাবে তারা চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি আমাকে রাজি করাতে। আমার মনে হয় এই দম্পতির বেলাতেও এমনটা হয়েছে।

ভাইরাল হলেই কিছু প্রকাশনী তাদের লেখক বানানোর চেষ্টা করে। তিনি বলেন, একটা প্রকাশনী থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে, আপনার বই বের করতে চাই। আপনি বলবেন আমরাই লিখব। তখন আমার রাগ লেগেছে। এ কেমন লেখক? আমি ছিলাম আর্টসের ছাত্র, মুখস্থ করেছি আর পরীক্ষার খাতায় লিখেছি। আমাকে তোমরা হুমায়ূন আহমেদ বানাতে চাও? নাকি আমার পরিচিতি কাজে লাগাতে চাও?’

অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন অদ্ভুত এক ভালোলাগা নিয়ে বই মেলায় যেতাম। বই কিনতাম। লেখকদের সঙ্গে দেখা হলে কী যে ভালো লাগতো। তাদের অটোগ্রাফ নিতাম। অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করত। আর এখন যারা ভাইরাল তাদের বই বের হয়। বিষয়গুলো থেকে প্রজন্ম কী শিখবে?’

তার মতে, বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে এইসব মৌসুমী প্রকাশনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তারা ব্যবসাটাকেই বড় করে দেখে। অন্যকিছু ভাবে না।

চলচ্চিত্র অভিনেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তিনি ২০০৮ সালে মহম্মদ হান্‌নান পরিচালিত ‘ভালবাসা ভালবাসা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের দাবাং হিসেবেও পরিচিত।

ঊষার আলো-এসএ