UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লেবাসের ইসলাম নয়, আমরা বিশ্বাস করি ইনসাফের ইসলামে

usharalodesk
জুন ১০, ২০২১ ১:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : ‘মুষ্টিমেয় লোক সন্ত্রাস ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড করে ইসলামকে দোষারোপ করে। কিন্তু মুষ্টিমেয় লোকের কর্মকাণ্ডে ধর্মকে দোষারোপ করা যায় না। আমরা লেবাসের ইসলাম নয়, বিশ্বাস করি ইনসাফের ইসলামে।’
আজ ১০ জুন বৃহস্পতিবার সারা দেশে নির্মাণাধীন ৫৬০ মডেল মসজিদের মধ্যে কাজ সমাপ্ত হওয়া ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মুষ্টিমেয় লোক সন্ত্রাস ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড করে ইসলামকে দোষারোপ করে। আমি বিশ্বের যেখানেই গেছি, এ বিষয়ে কথা উঠলে আমি সব ফোরামে বলেছি, মুষ্টিমেয় লোকের কর্মকাণ্ডে ধর্মকে দোষারোপ করা যায় না।
বঙ্গবন্ধুকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, লেবাসের ইসলাম নয়, আমরা বিশ্বাস করি ইনসাফের ইসলামে।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করছি। এর মধ্যে ৫০টি আজ উদ্বোধন করছি। এই মসজিদ থেকে মানুষ যেন ইসলামের মূল কথাটা শিখতে পারে, জানতে পারে। জ্ঞান-বিজ্ঞান, সভ্যতাসহ সব কিছুতে মুসলমানরা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তারা পথপ্রদর্শক ছিল। আজকে কেন মুসলিমরা পিছিয়ে থাকবে?’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, আমরা চাই, যেন ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সবাই সচেতন হয়। ইসলাম ধর্ম নারীদের অধিকার দিয়েছে। পিতার ও স্বামীর সম্পদে নারীর অধিকার দিয়েছে। এই মসজিদেও নারী-পুরুষের নামাজসহ পৃথক ধর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মাধ্যমে ধর্মীয় দৃষ্টিতে বাল্যবিয়ে, নারী-শিশুদের নির্যাতন ও মাদকের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে হবে। এগুলো রোধে সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় এসে হজ যাত্রীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা নিছি। যখনই আমি হজে যাই আমাদের হজযাত্রীদের খোঁজখবর নিই। সৌদি আরবের সরকারের সঙ্গে কথা বলে সেগুলো সমাধানও করি। এখন আর হজযাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় না। ঢাকা বিমানবন্দরের আশকোনা হজ ক্যাম্পেই ইমিগ্রেশনসহ নানা কার্যক্রম শেষ করার সুযোগ রেখেছি। জেদ্দায় নেমে যাতে সমস্যায় না পড়ে, সেখানেও হজ্জ অফিস করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, ধর্মসচিব মো. নূরুল ইসলাম ও ৩ স্পট থেকে কয়েকজন মুসল্লি প্রমুখ।
ভার্চুয়াল এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। আর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং খুলনা জেলা সদর, রংপুরের বদরগঞ্জ ও সিলেটের সুরমা উপজেলা সদর থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও মুসল্লিরা যুক্ত হন।

(ঊষার আলো- এম.এইচ)