UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরু হবে

koushikkln
জুন ১৫, ২০২২ ৫:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি : সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু সুরক্ষা ও শিশু অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তরিক। এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরু হবে।

বুধবার (১৫ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনস্থ সভাপতির কার্যালয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ সব কথা বলেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্ট্রিট চিলড্রেন এক্টিভিস্টস নেটওয়ার্ক (স্ক্যান) বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, শিশু সংগঠন ‘এক রঙ্গা এক ঘুড়ি’র নির্বাহী পরিচালক নীল সাধু, সচেতন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাকিলা পারভীন, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ প্রমূখ।

বৈঠকে শিশুদের রাজনৈতিক ও ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, মাদক বহন ও চোরাচালানসহ নানা অপকর্মে তাদের ব্যবহার করা হয়। শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে এটা বন্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুবান্ধব আইন-নীতিমালা সংশোধন ও পরিমার্জন করেছেন। শিশু অধিদপ্তর গঠনের বিষয়ে প্রস্তাবনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বৈঠকে উত্থাপিত লিখিত বক্তব্যে মনিরুজ্জামান মুকুল বলেন, শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধ ও অধিকার নিশ্চিত করতে শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের বিকল্প নেই। একইসঙ্গে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন এসডিজি (লক্ষ্যমাত্রা) অর্জনে স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ৩৬৭টি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সংগঠন ও ব্যক্তির প্রতিনিধিত্বশীল জোট স্ক্যান-বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের দবি হচ্ছে, ঝুকিপুর্ণ শিশুশ্রম নিরোসনে ও পথশিশু পুণর্বাসন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এজন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। করোনাকালে বন্ধ থাকা সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগ পৃথক শিশু বাজেট আগামী অর্থবছর থেকে পূনরায় চালু করতে হবে।