UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

usharalodesk
জুন ১, ২০২১ ৮:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : গৃহস্থালী কাজের আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করে জিপিডিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং নারী নির্যাতন বন্ধ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বাল্যবিবাহ রোধ, করোনাকালে কর্মহীন হয়ে পড়া নারীদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পুনর্বাসন করার জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবিতে মঙ্গবার (১ জুন) বেলা ১১টায় সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, খুলনা জেলা’র উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাজেটের মাধ্যমে শুধু অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নয়, সরকারের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলিত হয়। নারী শ্রমের স্বীকৃতি ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাজেট বিশেষ ভূমিকা থাকে। গত বছরে নারীর প্রতি সংহিংসতা ভীষণভাবে বেড়ে গেছে। স্বামীর নির্যাতনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থস্থানে রয়েছে। বাল্যবিবাহ বেড়ে ও ৪র্থ স্থানে আছে। এতে বোঝা যায়, নারীর জীবনে পারিবারিক নির্যাতন এবং সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা চরম আকার নিয়েছে। গৃহে নারীরা পড়ে ১৬ ঘণ্টা কাজ করে। সিপিডি সেন্টার ফর সি ডায়ালগ)-এর ‘জাতীয় অর্থনীতিতে নারীদের অবদান নিরূপণ, বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা যায়, নারীদের গৃহস্থালী কাজের আর্থিক মূল্য ১১ লক্ষ কোটি টাকারও উপরে। গৃহকর্ম করতে বিকল্প কাউকে নিয়োগ দিলে কত টাকা ব্যয় হতো, তার ভিত্তিতে হিসাব করা হয়েছে। কিন্তু গৃহস্থালী কাজের আর্থিক মূল্য হিসাব করার রাষ্ট্রের কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। গৃহিনী নারীদের কাজের মূল্যায়ন না হওয়ায় নারীরা তার প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত হন এবং অসহায় বোধ করেন। নির্যাতন বৈষম্যের শিকার হন। নারীর শ্রমের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী ও নারীদের সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে রাষ্ট্র বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। রাষ্ট্র নারীদের শ্রমের মূল্যায়ন করার মধ্য দিয়ে তার কাজের স্বীকৃতি দিতে পারে। সাথে সাথে বাজেটে থোক বরাদ্দ রাখতে পারে নারীদের জন্য, যা তাদের পুনর্বাসনে ব্যবহৃত হবে। সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের পক্ষ থেকে কতিপয় দাবি পেশ করা হয়, (১) গৃহস্থালি কাজের আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করে জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা (২) নারী নির্যাতন বন্ধে ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাজেটে বরাদ্দ (৩) করোনাকালে কর্মহীন হয়ে পড়া নারীদের পুনর্বাসনের জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ (৪) ঢাকাসহ সকল নগর ও পৌর এলাকায় সরকারিভাবে ডে-কেয়ার সেন্টার চালু, নগরে নারীদের জন্য পর্যাপ্ত আধুনিক গণপরিবহণের ব্যবস্থা, নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, প্রতি উপজেলায় সরকারিভাবে নারী হোস্টেল নির্মাণ, প্রত্যেক জেলা সদরে মতিৃসদন স্থাপন, নির্যাতিত নারীদের চিকিৎসার জন্য ওসিসি থাকতে হবে এবং এ সকল ক্ষেত্রে বরাদ্দ দিতে হবে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, জেলা সভাপতি কোহিনুর আক্তার কণা, সহ-সভাপতি অপর্না মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক বাসিরা সরদার পলি, সহ-সাধারণ সম্পাদক পরভীন বাসিরা সরদার পলি, সদস্য রেখা বেগম, সুফিয়া বেগম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

(ঊষার আলো-এমএনএস)