UsharAlo logo
শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হলি আর্টিজানের ঘটনা নিয়ে বলিউডে সিনেমা নির্মাণ বন্ধে নোটিশ

usharalodesk
সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১ ৫:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : রাজধানী ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে বলিউডে নির্মিত হতে যাচ্ছে সিনেমা। গত মাসে ভারতীয় পরিচালক হাসনাল মেহতা ‘ফারাজ’ নামের ছবিটির শুটিং শুরুর ঘোষণা দেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানে অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। এ ঘটনায় একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলায় ২২ নিরীহ মানুষ নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়।

সিনেমাটির খবরে সেই হামলায় নিহতদের পরিবার কঠোর আপত্তি জানিয়ে এটি নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়েছে। হামলায় নিহতদের আত্মত্যাগের প্রতি সিনেমাটি চরম অসম্মান প্রদর্শন করবে বলে তারা মনে করেন। এ ছাড়া সিনেমাটি পরোক্ষভাবে বাংলাদেশকে একটি চরমপন্থী রাষ্ট্র হিসাবেও বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করবে বলে মত প্রকাশ করেন তারা।

হলি আর্টিজানের ঘটনায় এক নিহতের পরিবারের সদস্য বলেন, ‘সেই ভয়াবহ রাতের ঘটনাটি কোনো অবস্থাতেই আমাদের দেশ বা আমাদের জাতি কিংবা আমাদের ধর্মকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে না। বরং এরকম একটি ঘটনার সিনেমার মাধ্যমে পুনরাবৃত্তি মানুষের বিশ্বাসে বিরূপ ধারণার জন্ম দেবে যা সর্বোপরি আমাদের দেশের প্রতি অবিচার ও দেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে। ’

সিনেমাটিতে প্রকাশিত টিজার ও নাম হতে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, এতে সেই রাতের ঘটনায় নিহত ফারাজকে কেন্দ্র করে নির্মিত– যিনি ঘটনার সময়ে তার দু’জন বন্ধু অবিন্তা কবির ও তারিশি জৈনের সাথে ক্যাফেতে উপস্থিত ছিলেন। তারা তিনজনই নির্মমতার শিকার হয় এবং সে রাতে প্রাণ হারান।

অবিন্তা কবির ও তারিশি জৈনের পরিবার সিনেমাটির নির্মাণ কাজ দ্রুত বন্ধে নির্মাতা হানসাল মেহতা ও সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে।

একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ওই রাতের ঘটনা আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য শোকের কারণ, যেটি আমরা প্রতিনিয়ত বহন করে চলেছি। এরকম এক ঘটনা যা মানুষের আবেগ এবং অনুভূতিতে কঠিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়ায়। অবিলম্বে সিনেমাটির চিত্রায়ন চিরতরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিৎ। ’

এছাড়া সিনেমাটি নির্মাণের পূর্বে নির্মাতা ও সংশ্লিষ্ট প্রযোজনা সংস্থা হামলায় নিহত ব্যক্তিদের কারো পরিবারের কাছ থেকে কোনো প্রকার সম্মতি গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ আছে।

নিহত আবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদ জানান, ‘এরকম একটি ঘটনা যা জাতিকে স্তব্ধ করে তুলেছিল। এটির চিত্রায়ন কখনো এবং কোনো অবস্থাতেই সমীচীন নয়। ’

সিনেমাটির মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি ইসলাম ধর্মকে অপব্যাখা করে ও হামলায় নিহতদের আত্মত্যাগের স্মৃতির প্রতি অসম্মানজনক বলেও মত প্রকাশ করেন তারা।

(ঊষার আলো-এফএসপি)