UsharAlo logo
শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিচার ব্যবস্থাকে তিলে তিলে ধ্বংস করা হয়েছে : নিতাই রায়

usharalodesk
জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ ৮:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ১৫ বছরে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে তিলে-তিলে ধ্বংস করা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, দেশে কারো ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ নেই। খুলনা বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মীর জামিন না-মঞ্জুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, হাইকোর্ট যাদেরকে জামিন দিয়েছে, নিম্ন আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠাতে পারেনা।
সরকার দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সব কিছুকে চুরমার করে দিয়ে দানবীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন ফ্যাসিবাদী শক্তি টেকেনি। শেখ হাসিনার নিকৃষ্টতম শাসনেরও অবসান ঘটবে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারী) খুলনায় বিএনপি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিকেলে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর আহবায়ক শফিকুল আলম মনা।

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাশের মাধ্যমে এক দলীয় বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যার নিন্দনীয় ঘটনার বার্ষিকী স্মরণে এবং দুর্নীতিবাজ, গণ-বিরোধী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও রাজবন্দীদের মুক্তি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষনা করে বিএনপি।

তবে রাজনৈতিক নানা ইস্যুকে ছাপিয়ে এদিন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা আটক বিএনপি নেতা শফিকুল আলম তুহিন, মনিরুল হাসান বাপ্পীসহ ৬৬ জনের মুক্তি দাবি করে মুর্হুমুর্হু শ্লোগানে সমাবেশস্থল প্রকম্পিত করে তোলে।

নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল নয়। গণতান্ত্রিক পন্থায় কোন ভোটে তারা নির্বাচিত হয়নি। ৭৩’ সালে ভোট কারচুপির মাধ্যমে তারা ক্ষমতা দখল করেছিল। গণতন্ত্রের মুক্তি, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য একাত্তর সালে জীবনবাজি রেখে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। অথচ পাক বাহিনীর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পন করে যারা নিরাপদে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল, তারাই পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছে। একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। চারটি পত্রিকা রেখে সকল গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে। রক্ষীবাহিনী ৩০ হাজার রাজনেতিক কর্মীকে হত্যা করেছিল। দেশপ্রেমিক সিরাজ শিকদারকে হত্যা করা হয়েছিল।

শেখ হাসিনাও প্রতিহিংসার রাজনীতি কায়েম করতে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী রেখেছে। তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ রুদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, দেশ চায় স্বাধীনতা। জাতি চায় মুক্তি। জনগন চায় পরিবর্তন।

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, আব্দুর রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, মোস্তফা উল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান নান্নু, একরামুল হক হেলাল, শেখ সাদী, এনামুল হক সজল, হাফিজুর রহমান মনি, ডাঃ আব্দুল মজিদ, আশফাকুর রহমান কাকন, খায়রুল ইসলাম খান জনি, বেগ তানভিরুল আযম, আবদুস সাত্তার, শেখ শাহিনুল ইসলাম পাখী, অসিম কুমার সাহা, শাকিল আহমেদ দিলু, মুরশিদ কামাল, ইলিয়াস হোসেন মল্লিক, শেখ আসগর আলী, মোঃ হাফিজুর রহমান, এহতেশামুল হক শাওন, সুলতান মাহমুদ, এস এম মুর্শিদুর রহমান লিটন, নাজিরউদ্দিন নান্নু, নাজমুস সাকির পিন্টু, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, হাসানউল্লাহ বুলবুল, আরিফুর রহমান, সরোয়ার হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, রফিকুল ইসলাম বাবু, নাসির খান, সরদার আব্দুল মালেক, রাহাত আলী লাচ্চু, মল্লিক আব্দুস সালাম, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, শেখ আবুল বাশার, তারিকুল ইসলাম, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, শাহাদাত হোসেন ডাবলু, মিজানুর রহমান মিলটন, আলী আক্কাস, শামসুল বারিক পান্না, মুজিবর রহমান, যুবদলের নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল আজিজ সুমন, জাবির আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের আতাউর রহমান রুনু, ওয়াহিদুজ্জামান হাওলাদার, ইউসুফ মোল্লা, মহিলা দলের এ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, ছাত্রদলের আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, শ্রমিক দলের খান ইসমাইল হোসেন, জাসাসের শহিদুল ইসলাম, আজাদ আমিন প্রমুখ।