ঊষার আলো প্রতিনিধি ঃ বাংলা প্রকৃতিতে চলছে ভাদ্র মাস। সাধারনত এ সময় বেশ গরমের ভাব অনুভূত হয়। ভাদ্রের গরমে নগরীর দৌলতপুরবাসী বেশ অস্বস্তি অনুভূত করলেও আজ ২৬ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুর সোয়া ১টায় টানা দমকা হওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি সকলকে সামায়িক গরমের হাত হতে স্বস্তি মিলেছে। এক পসরা বৃষ্টি প্রকৃতিকে করেছে শীতল। স্বস্তি মিলেছে ঠিকই কিন্তু ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সর্বমহলকে।
ভারী বর্ষনের কারনে খুলনা-যশোর মহাসড়কের যানবহন চলাচল কিছু সময় শিথিলতা প্রতীয়মান হয়, যেখানে সকাল হতে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত লম্বা লাইন থাকে যানজটের, বৃষ্টির কারণে যানবহন চলাচল কম নজরে আসে, বৃষ্টি যেন যানজট মুক্ত করেছে দৌলতপুরকে। তবে থেমে থাকেনি রিক্সা বা ইজিবাইক চলাচল। যাত্রীরা বৃষ্টির হাত হতে রক্ষা পেতে তরিঘড়ি করে উঠে পড়ে রিক্সায়।
পাশাপাশি এ বর্ষার কারণে দৌলতপুর বাজারের স্যাঁতস্যাঁতে কাদার হাত হতে রক্ষা পাইনি বাজার থাকা বিক্রেতা সহ সদয় করতে আসা ক্রেতারা। তবে বর্ষাকে ভয় পেয়ে হাতে ছাতা নিয়ে ছুটে চলছেও ভারী বর্ষন অনেকেই ভিজিয়ে দিয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে দীর্ঘক্ষন চায়ের দোকান, চালের নিচে, কোন শপিংমলের সামনে, ছোট বড় ছাপড়ার নীচে অনেকেই আটকে থাকতে দেখা যায়।
দীর্ঘ সময় ধৈর্য্যচূত ঘটার পর অনেকেই ভিজতে ভিজতে চলে যায়। দীর্ঘ বৃষ্টির কারণে বাজার সহ এলাকায় সংর্কীন ড্রেন, উচু নিচু রাস্তা, খানাখন্দে বেহাল রাস্তায় জলবদ্ধতা দেখা দেয়। মামুন নামের ব্যবসায়ী জানায়, বিআরটিএ অফিসে গাড়ীর কাগজ আনতে গিয়ে ছিলাম হঠাৎ হুড় হুড় করে বৃষ্টি নামার দরুন দীর্ঘক্ষন ধরে দৌলতপুরের বেক ডি’কেক দোকানে বসে আছি। ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান জানান, একইতো মাসের শেষ। কেনাবেচা নেই বললেই চলে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে বাজার পুরাই ফাকা হয়ে গেল। রিক্সা চালক কাঞ্চন জানান, এমনতেই যাত্রী নেই, তারপর বৃষ্টির কারণে আরো কমে গেছে।
এ ব্যাপারে খুলনা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনা গতকাল দিনের তাপামাত্রা ছিল ৩৪.০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বিকাল ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ৯ মিঃমিঃ। হঠাৎ গরমের মধ্যে বৃষ্টির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান মোসুমী বায়ূ সংক্রীয় এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ গভীর সঞ্চায়নশীল মেঘমালা আসার কারণে বৃষ্টি হচ্ছে এবং সারাদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে , কাল হতে বৃষ্টি না থাকার সম্ভাবণা আছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
(ঊষার আলো-আরএম)