UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইসিইউ সেবা এখন খুলনার উপজেলায়

koushikkln
এপ্রিল ৭, ২০২১ ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ

বিশেষ প্রতিনিধি : করোনা আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের এখন আর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটতে হবে না। খুলনার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পাওয়া যাবে এই সেবা। এজন্য ৯টি উপজেলায় সেমি আইসিইউ ও অক্সিজেন ব্যাংক চালু করেছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে দাকোপ ও রূপসা উপজেলায় চালু হয়েছে এই ইউনিট। সেখানে রোগীরা সেবা পাচ্ছে।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। খুলনা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এসব কেন্দ্র নির্মাণে অর্থায়ন করেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকা, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় উচ্চবিত্তরা। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে আইসিইউ নির্মাণের উদ্যোগ দেশে এই প্রথম।
এদিকে আইসিইউ ইউনিট নির্মাণ হলেও উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষিত জনবল এবং চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরতদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ইউনিটগুলো সচল রাখা হচ্ছে। এসব উপজেলায় আইসিইউ চালু রাখতে দ্রুত প্রয়োজনীয় জনবল সরবরাহের দাবি জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের তত্ত্বাবধানে গত ডিসেম্বর মাস থেকে এই কাজ শুরু হয়। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকা, উপজেলা পরিষদ ও খুলনার স্থানীয় ব্যক্তিদের অর্থায়নে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আইসিইউ ইউনিট নির্মাণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা নির্মাণ কাজ তদারকি করছেন। ছোট উপজেলায় ১৫ শয্যার ইউনিট নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। এছাড়া বড় উপজেলায় ২০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪৫ লাখ টাকা।
খুলনার দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হক নিজামী বলেন, গত সপ্তাহে ইউনিটটি বুঝে নেওয়ার পর থেকে গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এটাকে করোনা কেয়ার ইউনিট বা সেমি-আইসিইউ বলা যায়। ইতোপূর্বে যে সব গুরুতর রোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হতো এখন উপজেলায় সেই সাপোর্ট দেওয়া যাচ্ছে। করোনা রোগীদের জন্য এটা খুব কাজে লাগছে।
খুলনার রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সংগীতা চৌধুরী জানান, হাসপাতাল ভবনের তৃতীয় তলায় ইউনিটটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের কয়েকজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এখন রোগী ভর্তি করার সুযোগ রয়েছে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, বেসরকারি উদ্যোগে এতো বড় প্রচেষ্টা ছিলো চ্যালেঞ্জের। দুটি উপজেলায় নির্মাণ কাজ শেষ করে হস্তান্তর করেছি। অন্য ৭টি উপজেলায় এই মাসের মধ্যে শেষ হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জাইকার উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারাই এগুলো পরিচালনা করবেন। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক সরবাহের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।