UsharAlo logo
বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইসোলেশন ও পর্যাপ্ত অক্সিজেন ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণের মাঝে ক্ষোভ

usharalodesk
জুন ৭, ২০২১ ১০:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : মোংলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন, আইসিইউ ও পর্যাপ্ত অক্সিজেন ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। লকডাউনে প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকলেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে খোড়া অজুহাতে বিভিন্ন জেলা থেকে মোংলা শহরে ঢুকছে মানুষ।
মোংলায় চলমান কঠোর লকডাউন চললেও করোনার সংক্রমণ হার অনুকূলে আসছে না। এর ফলে ৮ দিনের লকডাউন শেষে সোমবার (৭ জুন) থেকে আরও এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার। স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ড সদস্যরাও রয়েছে বিভিন্ন চেকপোষ্ট ও শহর এলাকায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই কোন আইসিইউ’র ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত অক্সিজেন। যার কারণে সাধারন মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা নাজুক, দুইটি এ্যাম্বুলেন্স তাও নষ্ট হয়ে পরে আছে হাসপাতালের মাঠে, প্যাথলজি বিভাগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া পৌর শহরের বাইরে প্রায় ৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকসহ অন্যান্য জেলা থেকে মানুষ মোংলা এলাকায় ঢুকবছে হরহামেশা। তাই মানুষের সচেতনতার জন্য প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার আহবান এলাকাবাসীর।
করোনার জন্য পৌর শহর এলাকায় সকল প্রকার যান চলাচল সম্পুর্ন বন্ধ ঘোষণা থাকলেও বেশ কিছু জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রিক্সা, ভ্যান, নছিমন ও ইজিবাইক চলাচল করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই এক দিকে চলছে কঠোর লকডাউন তার মধ্যেও মানুষের মাঝে আসছে না স্বাস্থ্য সচেতনতা। এ জন্য মানুষকে সচেতন করার লক্ষে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পাশে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনী ছাড়াও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক ও নিজ উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি সচেতন হওয়ার দাবী স্থানীয়দের।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডাঃ জিবেতোষ বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে দুই দিনের নমুনা পরীক্ষার পরিবর্তে ৬ দিন করা হয়েছে। এছাড়া যাদের নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ হচ্ছে তাদের সু-চিকিৎসার জন্য সকল পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আর আক্রান্তদের অবস্থার অবনতি হলে সেন্টাল অক্সিজেন ও আইসিইউ’র ব্যবস্থা না থাকায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
৩১ মে থেকে ৭ জুন গত এক সপ্তাহে মোট ২০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে মোট ৭ জন। তবে সরকারী হিসাব মতে ৫ জনের তালিকা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)