UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

একনেকে ৬ হাজার ৬৫১ কোটি টাকার ১০ প্রকল্পের অনুমোদন

usharalodesk
জুন ৮, ২০২১ ৭:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : প্রায় ৬ হাজার ৬৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা খরচে ১০ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা। মঙ্গলবার (৮ জুন) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুমোদিত প্রকল্পের প্রায় ছয় হাজার ৬৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার মধ্যে সরকার দেবে ৫ হাজার ২১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৭৯৮ কোটি ৩ লাখ টাকা ও বিদেশি ঋণ ৬৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৯টি প্রকল্প নতুন ও একটি সংশোধিত। নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক বিভাগের ‘বরিশাল (দিনারেরপুল) লক্ষ্মীপাশা-দুমকি সড়ক (জেড-৮০৪৪) এর ২৭তম কিলোমিটারে পাণ্ডব-পায়রা নদীর ওপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পটিতে এক হাজার ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করা হবে। ছয় হাজার ৬৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুন মেয়াদে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘মধুপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক (এন-৪০১) যথাযথ মান এবং প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পটি এক হাজার ১০৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা খরচে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘চিলমারী এলাকায় নদীবন্দর নির্মাণ’ প্রকল্পটি ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা খরচে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের আধুনিকায়ন এব্ং সম্প্রসারণ’ প্রকল্পটি ২১৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা খরচে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলাধীন ব্রাহ্মণগ্রাম-হাটপাঁচিল এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ এবং বেতিল স্পার-১ ও এনায়েতপুর স্পার-২ শক্তিশালীকরণ কাজ’ প্রকল্পটি ৬৪৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা খরচে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ঠাকুরগাঁও জেলার টাঙ্গন ব্যারেজ, বুড়িবাঁধ ও ভুল্লিবাঁধ সেচ প্রকল্পসমূহ পুনর্বাসন, নদীতীর সংরক্ষণ ও সম্মিলিত পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পটির খরচ ২৯৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিবীজ উন্নয়ন এবং বর্ধিতকরণ’ প্রকল্পটির খরচ ৭২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৫ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো, সংরক্ষণ এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ আধুনিক ধানের সাইলো নির্মাণ’ প্রকল্পটির খরচ এক হাজার ৪০০ কোটি ২২ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিভাগের ‘বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পটির খরচ এক হাজার ৩০৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।

সর্বশেষ সংশোধিত প্রকল্পটি হচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘বিপিএটিসি’র প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প। এটির প্রথম সংশোধন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকল্পটির খরচ ৩৪৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২০৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২০ সালের জুনে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও এর মেয়াদ ৩ বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

(ঊষার আলো-আরএম)