ঊষার আলো ডেস্ক : চলমান লকডাউনের মধ্যে রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন শপিংমল ও বিপণী বিতান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সব দোকান ও শপিংমল খুলে দেয়া যাবে বলে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে নির্দেশনা জারি করা হলো।’
এদিকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা আছে। এসময় বাইরে বের হতে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নেয়ার কথা বলা আছে। রোববার মার্কেট খুলে গেলে সেই নিয়ম কি বলবৎ থাকবে? পুলিশ সদর দফতর বলছে, এই সময়ে মার্কেটে যেতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের লাগবে মুভমেন্ট পাস। যদিও শপিংমল খোলার বিষয়ে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে কোনও নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, যে কারণে বেশিরভাগ অফিস বন্ধ ও কিছু অফিস সীমিত পরিসরে চালু রেখে ১৪ এপ্রিল থেকে ফের দেয়া বিধিনিষেধে কতটা ফল পাওয়া গেল, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৮ জন। এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ১০ হাজার ৮৬৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৩৬২৯ জন, এখনও পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭০৩ জন। অপরদিকে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫২২৫ জন, আর এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৪ জন।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই একে একে সবই খুলে দেয়ার ঘোষণা এলো। শুধু মার্কেটই নয়, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ আরও শিথিল হচ্ছে। চলমান বিধিনিষেধের সময়সীমা (২৮ এপ্রিল) পার হওয়ার পর নতুন করে আর এই কঠোর বিধিনিষেধ থাকছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধীরে ধীরে সবকিছু খুলে দেয়া হবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হবে। চালু হবে গণপরিবহনও।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমন তথ্য জানান।
সরকার ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’- এই বিষয়টির ওপরে গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি যাতে আমরা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, সেই বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা চাইবো, শতভাগ মানুষ মাস্ক পরবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। আর এটা সম্ভব হলে আমাদের আর কঠোরতার প্রয়োজন পড়বে না।’
এদিকে ভারতে আশঙ্কাজনকভাবে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব ছড়িয়ে পড়ছে। সেদেশে ডাবল এবং ট্রিবল মিউট্যান্ট ভাইরাসের কথা শোনা যাচ্ছে, যেটা কিনা বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গেও সমানভাবে ছড়িয়েছে। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের বাংলাদেশেও আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর যদি সেটা চলেই আসে, তাহলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে কিনা, সে নিয়েও শঙ্কা রয়েছে তাদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে এখনও জানামতে এই ভ্যারিয়েন্ট রিপোর্টেড হয়নি। কিন্তু যেহেতু ভারত একেবারেই প্রতিবেশী দেশ, ভারতের সঙ্গে বর্ডারগুলো সীমিতভাবে চালু রয়েছে, স্থলবন্দর দিয়ে মানুষের যাতায়াত রয়েছে, তাই দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট আসবেই। আর এটা হলে বর্তমান অবস্থার চেয়েও পরিস্থিতি ভয়ানক খারাপ রূপ নেবে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)