UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কয়রায় বিএনপির ত্রাণ বিতরণে পুলিশের বাঁধা ও লাঠিচার্জে আহত দুই: নিন্দা ও শাস্তির দাবি

usharalodesk
জুন ১২, ২০২১ ১০:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : খুলনা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে কয়রা থানা পুলিশের ঔদ্ধত্যপূর্ণ অশালিন ও রূঢ় আচরনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, খুলনা জেলা প্রশাসনের অনুমোতি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কয়রা উপজেলার কালনা আমিনিয়া মাদ্রাসায় ত্রাণ বিতরণ শেষে ভাঙ্গন কবলিত মেঘারাইন, গোবিন্দপুর, দশালিয়া, শেখের টেকের কোন ও হোগলাবাজার পরিদর্শন শেষে পুনরায় কয়রার কালনায় পৌছালে কয়রা থানার এএসআই মিন্টু ও সাইফুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য বিএনপি নেতৃবৃন্দের দ্রুত এলাকা ছাড়ার জন্য বলেন। এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু নামাজ পড়তে চাইলে পুলিশ নামাজ পড়তেও বাধা সৃষ্টি করে যা একটি গনতান্ত্রিক দেশে মোটেই কাম্য নয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, পুলিশ সদস্যরা আগে থেকেই নেতৃবৃন্দের গাড়িগুলো কালনা থেকে প্রায় তিন কি: মি: দুরে সরিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে ভ্যানযোগে গাড়ির কাছে এসে খাবার খাওয়ার প্রস্তুতি নিলে আবারো ওই পুলিশ সদস্যরা বাধা দেন এবং খাবার স্থল ঘেরাও করে রাখেন। পরবর্তীতে না খেয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ত্রাণ সদস্যদের নিয়ে প্রায় ১২ কি: মি: দুরে অর্থ্যাৎ চাঁদআলী ব্রীজের কাছে এসে নামাজের প্রস্তুতি নিলে পুনরায় সেখানে এসেও নামাজে বাধা প্রদান করেন এবং পাইকগাছায় গিয়ে নামাজ পড়তে বলেন অন্যথায় থানা হাজতে নামাজ পড়তে হবে বলে হুমকি দেন। এ সময় ত্রাণকর্মীরা গাড়ি থেকে নামলে অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ শুরু করেন। এত ত্রাণকর্মী শামীম আশরাফ ও মেহেদী হাসান মিলন গুরুত্বর আহত হয়। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য এগিয়ে এলে লাঠি উচু করে ঔদ্ধত্যপুর্ন আচরণ করেন এবং গ্রেফতারের হুমকি দেন। এ সময় পুলিশের ছবি তুলতে গেলে আরো একজন ত্রাণকর্মীকে মারতে আসেন। বিষয়টি পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। পুলিশের এ ধরনের মানবিক কার্য্যে বাধাদানের মূল হোতা এএসআই মিন্টু ও সাইফুলের শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে অনুমতি নিয়ে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় কার বা কাহাদের ইশারায় বাধাদান, অশালিন আচরন ও সাবেক সংসদ সদস্যের সাথে ঔদ্ধত্যপুর্ন আচরন করেছেন তা খুঁজে বের করার আহবান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন খুলনা মহানগর সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জেলা সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি ও জেলা সাধারন সম্পাদক আমির এজাজ খান।
(ঊষার আলো-এমএনএস)