ঊষার আলো ডেস্ক : সম্প্রতি খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ জন শিক্ষকের (৭ জন সহকারী অধ্যাপক ও ৬৬ জন প্রভাষক) নিয়োগ বাতিল সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত প্রতিবেদনে উক্ত শিক্ষকবৃন্দের নিয়োগের সিলেকশন বোর্ডে ‘বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ’ সদস্য অন্তর্ভূক্ত না থাকার বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়। যার প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ বাতিলের উপরোক্ত নির্দেশনাটি প্রদান করে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ‘খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৫’ পর্যালোচনা করে দেখতে পেয়েছে যে, অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগ বাছাই কমিটিতে (বোর্ড) ‘বিশেষজ্ঞ (বিষয়ভিত্তিক)’ সদস্য রাখার বিধানটি বাধ্যতামূলক, কিন্তু সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উক্ত বিধানের বাধ্যবাধকতা নেই। কাজেই, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের সাথে সাংঘর্ষিক একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এত বিশাল সংখ্যক শিক্ষকের চাকুরি বাতিলের সিদ্ধান্তটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
শিক্ষক নেতারা বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতি খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা, গবেষণা তথা সার্বিক পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা সারাদেশের উচ্চশিক্ষার পরিবেশকেও নেতিবাচকভাবে ব্যাহত করতে পারে।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শিক্ষাদর্শন নিয়ে তাঁর সুযোগ্য কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস চেষ্টা করে চলেছেন। তাঁর বিচক্ষণ ও সময়োপযোগী নেতৃত্বে করোনা মহামারীর ধাক্কা ও তৎপরবর্তী বৈশ্বিক অস্থিরতার প্রভাব সামলে বাংলাদেশ যেভাবে বিশ্বের অপরাপর দেশের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে উঠেছে তা আমাদের জন্যে গর্বের। এমন সময়ে দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনার মতো সিদ্ধান্ত সামগ্রীক শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের পথে এমনকি দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে যা সমগ্র দেশ ও জাতির জন্যই সমূহ অকল্যাণকর।
তাই স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং সামগ্রীক পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনতিবিলম্বে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনাটি প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছে।