ঊষার আলো প্রতিবেদক : সম্প্রতি সময়ে সমগ্র খুলনায় করোনার পরিস্থিতি ভয়াবহ। বেড়েই চলেছে শনাক্তের সংখ্যাসহ মৃত্যুর সংখ্যা। চলমান এ পরিস্থিতিতে শনাক্তের সংক্রমিত হলে যে মুত্যৃর ঝুঁকি আছে তা যেন ভুলতে বসেছে নগরীর দৌলতপুরবাসী। তবে করোনাকে কোনো ঝুঁকি মনে না করে অবাধেই স্বাস্থ্যবিধির অবজ্ঞা করে সম্পূর্ন স্বাভাবিক আর ইচ্ছা স্বাধীন ভাবে ছুটে বেড়াচ্ছে দৌলতপুরের সমগ্র এলাকার মানুষ। প্রতিদিনই নতুন-নতুন শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তবুও করোনা সংক্রমনের হাত হতে রক্ষা পেতে এতটুকু সচেনতা নেই। করোনা শনাক্তের সংখ্যা উর্ধ্বমূখি যে কারণে সংক্রমন প্রতিরোধে দেয়া হয়েছে কঠোর বিধি নিষেধ। বিধি নিষেধে জনসমাগম এড়িয়ে চলা, বাধ্যতা মূলক মাস্ক ব্যবহার করা, ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা বলা হলেও মানতে নারাজ এতদাঞ্চলের লোকেরা। চলাফেরার ধরণ দেখে বোঝার উপায় নেই, খুলনা এখন করোনা হটস্পট আর সৃষ্টি হচ্ছে কঠিন পরিস্থিতি।
সরেজমিনে শুক্রবার (১৮ জুন) রেলওয়ে সংলঘ্ন কাঁচা বাজার, পাইকারী কাঁচা বাজার, মাছ-মাংশ পট্টিসহ বাজার খেয়াঘাট সম্মুখ যে সমাগম বা উপচে পড়া ভীড় একে অপরের গাঁ ঘেষে চলছে, নেই নূন্যতম দূরত্ব। একেই সমাগম অন্যদিকে অধিকাংশের মুখে মাস্কই নেই। এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে দৌলতপুরের প্রায় সর্বস্তরে। স্বাস্থ্যবিধির উপর জেলা প্রশাসন কঠোর অভিযান পরিচালনা করছে। গত ১৭ জুন বিকাল ৫টার পর দোকান খোলা রাখাসহ মাস্ক ব্যবহার না করা জরিমানা করছে। তবে প্রশাসনের জোরালে ভূমিকা থাকলেও দৌলতপুরের সকলের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবনতা প্রতীয়মান। তাই দৌলতপুর যেন ঝুলছে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকির মধ্যে। নগর সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী টিপু বলেন, মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে নিয়মিত সচেতনা কর্মকান্ড অব্যহত থাকলেও কঠোর আইন করে বা জরিমানা দিয়ে জনগনকে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করা সম্ভব না বরং এ জন্য সচেতনতার বিকল্প নেই। ব্যবসায়ী আজাদ জানান, রাত হয়েগিয়ে ছিল বাজার ফাঁকা ছিল, যে কারণে মাস্ক পরিনি, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে আমাকে দু’শত টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান কোর্ট। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যুর ঝুকি আছে সেহেতু সকলের স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক ব্যবহার করা উচিত বলে সুধী মহলের মন্তব্য।
(ঊষার আলো-এমএনএস)