UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খুলনায় বিষন্ন নি:স্তব্ধতায় বাংলা নববর্ষকে বরণ

usharalodesk
এপ্রিল ১৫, ২০২১ ৫:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : ভোরে সূর্য দ্বয়ের সাথে সাথে এবার খুলনায় উচ্চারিত হয়নি ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো…’। হয়নি বাঙ্গালির ঐতিহ্যধরে মঙ্গলযাত্রা। বিষন্ন নি:স্তব্ধতায় নতুন বর্ষকে বরণ করলাম আমরা। শুনশান নগরীতে বসেনি বৈশাখি মেলা, নতুন কাপড়ে রাস্তায় নামেনি তরুন-তরুনী, কিশোর-কিশোরী, শিশু বৃদ্ধ কেউই। ঘরবন্দি বৈশাখ বন্দনায় নতুন বর্ষকে বরণ করেছি আমরা। যার রং ছটিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
প্রতিবছর খুলনায় উদিচির আয়োজনে সুর্যোদয়ের সাথে সাথে মঙ্গলযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে বরণ করা হয় নতুন বর্ষকে। কিন্তু এ বছর করোনা মহামারির কারনে লক ডাউন ঘোষনা করায় উদিচীর আনুষ্ঠানিকোন কার্যক্রম ছিল না।
আনুষ্ঠানিক কোন আয়োজন ছিল না শিল্পকলা একাডেমীরও। প্রতি বছর আব্বাস উদ্দিন একাডেমি নানা আয়োজনে নতুন বর্ষ বরণ করলেও তারা এবার কাজ করেছে ঘরোয়া ভাবে অনলাইনে। আব্বাস উদ্দিন একাডেমির এনামুল হক জানান, লকাডউন, পহেলা রমজান সব কিছু মিলে এ বছর বর্ষবরণ হয়নি। গত বছরও আমরা বর্ষবরণ করতে পারিনি। শিল্পীরা নিজ উদ্যোগে ঘরে কিছু পারফর্ম করেছে সেগুলো আমরা অনলাইনে প্রকাশ করবো।
তিনি জানান, করোনায় সকল পেশা শ্রেণীর মানুষ সহযোগিতা পেলেও আমরা শিল্পীরা পাচ্ছি না। নিদারুন কষ্টে দিন যাপন করছি আমরা। কাউকে কিছু বলার নেই, বলবোও না।
প্রতি বছর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষথেকেও মঙ্গলযাত্রা করা হয় খুলনায় এ বছর কিছুই করতে পারেনি তারা লক ডাউনের কারনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, করোনা মহামারির কারনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এ কারনেই এবার কোন আয়োজন করা হয়নি।
ঐতিহ্যবাহি খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন ( কেইউজে)র বর্ষবরণ অনুষ্ঠানও গত দুই বছর ধরে পালন করতে পারছে করোনা মহামারির কারনে। খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা বলেন, অতিমারি কাটিয়ে আমরা জাঁকজমক পূর্ণভাবে মহামারি পালন করব। আমরা আমাদের সদস্য ও খুলনাবাসিদের বলছি এ বছর ঘরে বসে আগামীর মঙ্গলকামনায় আমরা বর্ষবরণ করব।
খুলনা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকেও এ বছর বর্ষবরণের আয়োজন ছিল না। বছরের প্রথমদিনই তারা ব্যস্ত থেকেছেন সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি লকডাউন কার্যকরে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরাও বলছেন, আমরা বর্ষবরণ করছি ঘরে বসে সরকারি নিয়ম মেনে। তবে বর্তমান মহামারি মোকাবেলায় আমরা অসহায় মানুষের মাঝে সাহায্যমূলক কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করছি।
এ বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বর্ষবরণের শুভেচ্ছা জানিয়ে মানুষকে ঘরে বসে থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন সকলেই। এ যেন ঘরে ঘরে বসে আপনজন মিলে হলো নতুনকে বরণ আর পুরনোকে বিদায়। আগামীতে সকলে মিলে নতুন বরণের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন অনেকেই।

(ঊষার আলো-আরএম)