UsharAlo logo
শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খোঁজ মিলছে না প্রকাশের : অনুমতির অপেক্ষায় দুদক

koushikkln
অক্টোবর ৮, ২০২১ ১১:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষার প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ ঘটনায় অভিযুক্ত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাসের ১৫দিনেও সন্ধান মেলেনি। প্রকাশ কুমার ওই হাসপাতালে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষার নামে প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক বছরের বেশী সময় ধরে এ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন রয়েছে।

অপরদিকে প্রকাশের পরিবারও তাঁর সন্ধান না পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) নেতারাও এক যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টির তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেছেন।

সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদের তথ্য অনুযায়ী, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাস নমুনা পরীক্ষার ফি গ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তিনি দীর্ঘ ১৩ মাস ধরে প্রতিদিন যতজন করোনা পরীক্ষা করাতেন তার চেয়ে কম সংখ্যক মানুষের নাম খাতায় লিপিবদ্ধ করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই সময় প্রকাশ দাস নমুনা পরীক্ষার ফি গ্রহণের যে তালিকা দিতেন সে অনুযায়ী ক্যাশিয়ার টাকা বুঝে নিতেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে এ ব্যাপারে গত ২২ আগস্ট তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে তার প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ওই হিসাব দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন দুপুরে অফিসে বসে হিসাব করার একপর্যায়ে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে অফিস থেকে চলে যান। এরপর থেকে তাঁর আর সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়ারি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিল করা হয়।

জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত একাধিক ব্যক্তি না প্রকাশ না করে জানান, হাসপাতালের এ ঘটনাটি দীর্ঘদিনের। রাঘব-বোয়ালরা না থাকলে এককভাবে প্রকাশের পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়। তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনে সরকারি চাকুরি করেন। তাই বিষয়টি রহস্যজনক। তাঁর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয়টিও স্বাভাবিক নয়। তাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকাশকে খুঁজে বের করা জরুরী।
প্রকাশ কুমারের স্বজনরা জানান, ২০১০ সালে প্রকাশ কুমার দাস খুলনা জেনারেল হাসপাতালে মেডিক্যাল টেকনোলোজিস্ট ও তাঁর স্ত্রী মাধবী লতা শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে সেবিকা হিসেবে চাকরী পান। চাকুরির শুরুতে আয় ভাল না হওয়ায় তিনি প্রথমে ডায়াগণস্টিক সেন্টার ব্যবসা শুরু করেন। এতে লোকসানে পড়লে এক পর্যায়ে জমি বন্ধক রেখে গাড়ির শো-রুম দেন। তাঁর দু’কন্যা রয়েছে।

প্রকাশ কুমার দাসের স্ত্রী মাধবী লতা দাস সাংবাদিকদের জানান, তাঁর স্বামীর কোন সন্ধান না পেয়ে দুমেয়ে নিয়ে উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন। দোষী হলে তিনিও তাঁর স্বামীর সাজা চান।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হাসান বলেন, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি বিভাগীয় দপ্তরের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি মিললে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার আগে থানায় মামলা দায়েরের সুযোগ নেই। কমিশন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছে।