UsharAlo logo
রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চোরাই ৫ টি গরু উদ্ধারের পর নিলামের উদ্যোগ, মূল মালিকদের থানায় অনশন

koushikkln
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ ১০:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি : নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন আফিলগেট চেকপোষ্টে গত ১৯ আগষ্ট ৫ টি চোরাইগরু এবং গরুবহনকৃত ১ টি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ড ১৪-০৯৪৫) সহ আন্তজেলা গরুচোর সিন্ডিকেটের ৩ সদস্যকে আটক করে পুলিশ । এ ঘটনায় ঐ দিনই খানজাহান আলী থানায় আটককৃত ৩ জনসহ পলাতক ৩ জন মোট ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ। যার নং মামলা নং ১৪।

আসামিদের আদালত জেল হাজতে প্রেরন করে, খানজাহান আলী থানার ওসি মোঃ কামাল হোসেন খান এর তদারকিতে আটক হওয়া গরু ৫ টি থানাতে ছিলো, গরুর মালিক খুজে না পাওয়াতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে গরু ৫ টি নিলামের জন্য আবেদন করেন। এর মধ্যে যশোর চৌগাছা ১০ নং নারায়নপুর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ আব্দুল জলিলের পুত্র হাসানুর রহমান ও পার্শবর্তি বাটিকামাড়ি গ্রামের কৃষক মোঃ খলিলের পুত্র মোঃ সামাউল বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারেন তাদের চুরি হওয়া গরু খুলনার খানজাহান আলী থানা পুলিশ আটক করেছে| গত ২৬ আগষ্ট তারা খানজাহান আলী থানায় এসে তাদের গরু বলে নিশ্চিত হয়।

এ সময় গরুর মূল মালিকরা গরু ফেরত নিতে চাইলেও আইনি জটিলতায় এক বার থানাতে , একবার কোটের বারান্দায় ৫ দিন ঘুরতে থাকে অবশেষে গত ১ সেপ্টেম্বর খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিমের আমলী আদালত ৩ গরু ৫ টি নিলামের আদেশ দেন । বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোর্টের জিআরও মোঃ নওশের আলী।

গরুর মুল মালিকের আইনজীবি এ্যাডভোকেট এস এম মাসুদুর রহমান বলেন গত ২৯ তাং গরু ফেরত পাওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করি , বিজ্ঞ আদালত আমলে না নিয়ে নিলাম দেয়। তিনি বলেন, আমার মক্কেল থানাতে গেলে তাদের গরু দেখা মাত্র সেখানে এক আবেঘঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়, রবিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) আদালতে রিভিশন করবেন বলেও জানান এ আইনজীবী।

এদিকে গরু ফেরত পাওয়ার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে খানজাহান আলী থানার সামনে অনশনে বসেন গরুর মালিকরা। এ সময় গরুর মালিক হাসানুর বলেন আমরা কৃষক মানুষ আমাদের গরু শতভাগ প্রমান দেওয়ার পরও আমরা গরু ফিরে পাইনি যদি গরুগুলি ফেরত না পাই তাহলে আমাদের মরা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই। খানজাহান আলী থানার ওসি মোঃ কামাল হোসেন খান জানান চৌগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ ও সেখানকার স্থানিয় জনপ্রতিনিধি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট গরুগুলির বর্ননা দেন এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা নিশ্চিত হয় যে চুরি হওয়া গরুগুলি যশোর চৌগাছা ১০ নং নারায়নপুর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ আব্দুল জলিলের পুত্র হাসানুর রহমান ও পার্শবর্তি বাটিকামাড়ি গ্রামের কৃষক মোঃ খলিলের পুত্র মোঃ সামাউল এর । বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর গরুর মালিক পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয় বলেও তিনি জানান।