UsharAlo logo
শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রেড লাইসেন্স শাখা দুর্নীতিমুক্ত করতে কেসিসির উদ্যোগ

koushikkln
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ ১১:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : অনিয়ম ও ঘুষের অভিযোগ ওঠায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স শাখায় ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছেন দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা। সম্প্রতি নগর ভবনে নাগরিক সংগঠনের একটি অনুষ্ঠানে লাইসেন্স শাখার দুর্নীতির বিষয়টি সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নজরে আনেন। মেয়র তাৎক্ষণিকভাবে কেসিসি লাইসেন্স শাখাকে দুর্নীতিমুক্ত করার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের পরই দপ্তরটি শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়।

|| নগদ অর্থ লেনদেন নয়, ব্যাংকে জমা দিতে গ্রাহককে||

অভিযোগের পর মাহফুজ হোসেন তালুকদার নামের একজন লাইসেন্স পরিদর্শককে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে। এর পরেই গত বুধবার ট্রেড লাইসেন্স শাখা বিতর্কের উর্দ্ধে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে এক সভা করে। সভায় গ্রাহকের কোন টাকা নিজ হাতে গ্রহণ করা হবে না, স্ব স্ব গ্রাহক ব্যাংকের টাকাসহ সব টাকা নিজ দায়িত্বে জমা দিয়ে আসবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। হঠাৎ করে এ ঘোষণার পর আগত গ্রাহকরা বিষয়টি না জেনে লাইসেন্স করতে এসে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েন। লাইসেন্স করার হারও কিছুটা কমেছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মাত্র ৩জন গ্রাহক ট্রেড লাইসেন্স করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকে টাকা জমাসহ আনুসাঙ্গিক কাজ নিজেরা করার অভ্যস্ত না হওয়ায় কাজে ধীর গতি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজে ব্যস্ত সময় পারকারী লাইসেন্স পরিদর্শক ও পিওনদের অসল সময় পার করতে দেখা যায়। অবশ্য এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর ১১৩ জন ও ১৫ সেপ্টেম্বর-৭৫ জন ট্রেড লাইসেন্স করেন ।

ট্রেড লাইসেন্স করতে আসা খালিশপুরের রফিকুল ইসলাম জানান, এ শাখার সবাই দুর্নীতিমুক্ত থাকতে যে উদ্যোগ হাতে নিয়েছে তা আগেভাগে জানানো উচিত ছিল। তাহলে গ্রাহকরা প্রস্তুতি নিয়ে আসতে পারতো।

তিনি বলেন, বিগত দিনে গ্রাহকরা স্ব স্ব ওয়ার্ডের লাইসেন্স পরিদর্শকের নিকট ট্রেড লাইসেন্সের পুরো ফি’র টাকা জমা রেখে যেতেন। পরিদর্শক নিজ দায়িত্বে পিওনদের দিয়ে ব্যাংকে টাকা জমাসহ আনুসাঙ্গিক কাজ করে রাখতেন। তারপর গ্রাহক এসে তার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে যেতেন। তবে এসব নিয়ে কিছু বির্তক থাকলেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রে গ্রাহকরা ট্রেড লাইসেন্স করতে উৎসাহিত হতেন।

কেসিসির সূত্রে জানা যায়, নানা বির্তকের কারণে গত ১৩ সেপ্টেম্বর লাইসেন্স পরিদর্শক (মাস্টাররোল শ্রমিক) মাহফুজ হোসেন তালুকদারকে বদলী করে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অধিনে ন্যাস্ত করা হয়। এই মাহফুজ সিনিয়র লাইসেন্স অফিসারের ছোট ভাই। একই আদেশে লাইসেন্স পরিদর্শক (যানবাহন) উজ্জল হোসেনকে লাইসেন্স পরিদর্শক (বাণিজ্য) হিসেবে বদলী করা হয়েছে। বিগত দিনেও উজ্জল এই পদে বদলী হওয়ার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। অভিযোগ ছিল, উজ্জল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ট্রেড লাইসেন্স শাখায় বদলীর চেষ্টা করছেন। সচিব বিষয়টি জানার পর উজ্জলের বদলীর ফাইল নথিজাত করার নির্দেশ দেন।

কেসিসির সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার ফারুখ হোসেন তালুকদার বলেন, ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই লাইসেন্স পরিদর্শকরা নিজ হেফাজতে টাকা রেখে ট্রেড লাইসেন্স করে দিত। যেহেতু এ নিয়ে বিতর্ক উঠেছে তাই এ নিয়ম বন্ধ করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে ব্যাংকে টাকা জমাসহ আনুসাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করে লাইসেন্স পরিদর্শকের কাছে কাগজপত্র জমা দিবেন। এতে কাজের কিছু ব্যঘাত ঘটলেও বিতর্ক নেই। তাই তিনি বাধ্য হয়েই এ নিয়ম চালু করা হয়েছে।