ঊষার আলো ডেস্ক : আমলকী খুবই অতিপরিচিত একটি বস্তু। এতে রয়েছে জাদুকরী গুণাগুণ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ভেষজ গুণসম্পন্ন আমলকীর বিভিন্ন গুণাগুণ;
চুল পড়া রোধে- চুল পড়া রোধে আমলকী বেশ কার্যকর। শুকনো আমলকী পানিতে নিয়ে গরম করম করতে হবে। ভালোভাবে সেদ্ধ হলে তা চটকে পেস্ট করতে হবে। এ পেস্ট চুলের গোড়া ও পুরো চুলে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুতে হবে। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে একদিন করে ব্যবহার করতে হবে এ প্যাক। তবে শুধেই ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর জন্য আমলকীর রস ব্যবহার করা যায়। সেক্ষেত্রে আমলকীর রস চুলে লাগিয়ে আধাঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিতে হবে।
ব্রণের দাগ দূর করতে- ব্রণের দাগ দূর করতে সহায়তা করে আমলকী। আমলকীর রস মুখে মেখে ৩০ মিনিট পর ঊষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। অনুভূতিপ্রবণ ত্বক হলে আমলকীর রসের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। তবে ভালো ফলের জন্য নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে ।
মৃত ত্বক থেকে মুক্তি- প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে আমলকীর রস। এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক সজীব এবং টানটান করতে সাহায্যে করে। ১ চামচ আমলা পাউডার গরম পানিতে মিশিয়ে তৈরি করা পেস্ট মুখে স্ক্রাব করার ৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এর সাথে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
আমলকীর তেল তৈরির ঘরোয়া পদ্ধতি- তেল তৈরি করার জন্য প্রথমে টাটকা আমলকী ও নারকেল তেল। প্রথমে এক কাপ আমলকী ভালো করে ধুয়ে বিচি ছাড়িয়ে মিক্সারে গুড়ো করে নিতে হবে। তবে পানি ব্যবহার করা যাবে না। এরপর একটি পাত্রে ১ কাপ নারকেল তেল চুলায় গরম করতে দিতে হবে। তেল গরম হলে তাতে দিয়ে দিতে হবে আমলকীর গুড়ো। আমলকীর গুড়ো মিশ্রিত নারকেল তেল ফুটে ওঠার ১০-১৫ মিনিট পর তা চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে কাঁচের জারে রাখতে হবে।
এই তেল চুলের গোড়া ও চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে পরে চুল ভালো মাইল্ড শ্যাম্পুর সাহায্যে ধুয়ে নিতে হবে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)
