ঊষার আলো প্রতিবেদক : দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমনে বর্তমানে খুলনা শীর্ষে অবস্থান করছে। যে কারণে খুলনাকে এখন করোনা ভাইরাসের হটস্পট হিসাবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। খুলনা জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভার সিধান্তক্রমে খুলনা জেলায় করোনা সংক্রমন বৃদ্ধির প্রক্ষিতে এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিধিনিষেধের মধ্যে অর্থনৈতিক চাকা যেন দূর্বল না হয়ে পড়ে তাই সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট,শপিংমলসহ হোটেল রেস্তারা খোলা রাখতে বলা হয়েছে। বিকাল ৫টার পর সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা নির্দেশ আরোপ করা হয়েছে।
তবে করোনা সংক্রমন রোধে জনসমাগম এগিয়ে চলার জন্য হোটেল রেস্তারা গুলোতে বসে কোন অবস্থাতেই খাওয়া যাবেনা, কারণ জনসমাগমে সংক্রমনের ঝুঁকি আছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল খোলা রেখে খাবার পার্সেল করা যাবে। দৌলতপুরে অধিকাংশ হোটেল মালিকরা এ আদেশ মানতে চেষ্টা করলে, অল্প খরচে বেশি লাভের প্রতিষ্ঠান দৌলতপুরে হাজী বিরানী হাউজ, ঢাকা বিরানী হাউজ, নান্না বিরানী হাউজ নামক খাবার হোটেল গুলোতে কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে ক্রেতাদের বসিয়ে খাওয়ানো নিষেধ থাকলেও প্রশাসনের আদেশকে অমান্য করে সামাজিক দূরত্ব ছাড়াই করে যাচ্ছে রমরমা ব্যবসা। ক্রেতাদের আনাগোনা দেখা মনে হচ্ছে বিরানী হাউজ গুলোতে ঈদ উৎসব চলছে। বিনাপ্রয়োজনে বাড়ীর বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও দৌলতপুরের বাজার কেন্দ্রীক মানুষের সমাগম বেড়েই চলেছে। যে জনসমাগম ঘটছে যে দেখে বোঝার উপয় নেই, দেশে মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে সরকার কর্তৃক সাত দিনের বিধিনিষেধ চলছে। তারপর আবার হোটেল গুলোতে আবার এমন দৃশ্য। তাই কঠোর বিধিনিষেধ না মানার কারণে অবাধে এসকল প্রতিষ্ঠানে খাবার বিক্রি করার কারণে বাড়ছে সংক্রমনের ঝুঁকি। সুধী সমাজের অভিমত নিজের এবং নিজের পরিবারের কথা ভেবে সকলের উচিত সরকার ঘোষিত সাত দিনের বিধি নিষেধ মেনে চলা।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড দেবাশীষ বশাক জানান, বিধিনিষেধে সংক্রমন রোধে হোটেল রেস্তারায় বসে খাবার বিক্রি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে তবে এর বিপরীতে পার্সেল করা যেতে পারে। যে সকল প্রতিষ্ঠানের এ নির্দেশ অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)